বিশ্বকাপ ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি’কক যে অবসর নেবেন, তা জানতেনই না অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। বিশ্বকাপের পরেই এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন ডি’কক। ১৪০টি এক দিনের ম্যাচ খেলা বাঁহাতি ব্যাটার ৫৯৬৬ রান করেছেন। ১৭টি শতরানও করেছেন। এমন অভিজ্ঞ ব্যাটার নিজের দলের অধিনায়ককেই জানাননি তাঁর অবসরের কথা।
হঠাৎ করেই বিশ্বকাপের আগে ডি’ককের অবসরের কথা জানা যায়। দেড় বছর আগে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। মেয়ের জন্মের পরেই লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ডি’কক। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেলার আগে সাংবাদিকদের বাভুমা বলেন যে তিনি জানতেন না ডি’কক এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। বাভুমা বলেন, “অবসরের কথা আমাকে জানানো হয়নি। অবসর নেওয়ার কথা ভাবছে বলেও শুনিনি। ডি’কক এমনই। ও কখন, কী করবে তা আগে থেকে আন্দাজ করা মুশকিল। তবে এর জন্য ডি’ককের সঙ্গে আমার সম্পর্ক পাল্টে যাবে না। অনূর্ধ্ব-১৫ স্কুল প্রতিযোগিতা থেকে ওর সঙ্গে খেলছি। দুর্দান্ত ক্রিকেটার। দারুণ প্রতিভা। ডি’ককের অবসর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের জন্য বড় ক্ষতি।”
ডি’কক এক সময় দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। তাঁর থেকে অনেক পরামর্শ পান বলে জানালেন বাভুমা। তিনি বলেন, “ম্যাচের মাঝে পরামর্শ করতে হলে আমি ডি’ককের কাছে যেতাম। ও না থাকলে আমার কাজটাও কঠিন হয়ে যাবে। তবে এই ভাবে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।”
বাভুমা মনে করছেন, ডি’কক অনেক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন যে, এই বিশ্বকাপ খেলে অবসর নেবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেন, “এই বছর ডি’কক অনেক বেশি হাল্কা মেজাজে ছিল। সতীর্থদের সঙ্গে মজা করত। সব সময়ে আনন্দে থাকত। আমার মনে হয় অনেক দিন আগেই ও অবসরের কথা ঠিক করে রেখেছিল। শুধু সঠিক সময় খুঁজছিল। ও এখন টি-টোয়েন্টিকেই বেছে নিয়েছে। আশা করি সেখানে ও ভাল খেলবে।”
বাভুমা না জানলেও ডি’ককের অবসরের কথা জানিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। একটি বিবৃতিতে তারা বলেছিল, ‘‘বিশ্বকাপের পরেই এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চায় ডি’কক। ওর সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে আশা করছি আগামী দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলবে ডি’কক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy