লড়াই: আরও একটা উইকেট ডাচদের। উল্লাস শ্রীলঙ্কা দলের। ছবি: টুইটার।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে মাত্র ৩৯ রানে অলআউট হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। শুক্রবার শারজায় ৪৪ রানে শেষ নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। এ বারও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭.১ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে জয়সূচক রান তুলে দেয় শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় প্রথম স্থান এখনও ধরে রেখেছে নেদারল্যান্ডস। শুক্রবার দ্বিতীয় স্থানেও জায়গা করে নিল তারা।
একই গ্রুপে আয়ারল্যান্ড বনাম নামিবিয়া ম্যাচ ছিল নক-আউট। শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষার। আয়ারল্যান্ড ও নামিবিয়ার কাছে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এ দিন অঘটন ঘটিয়ে প্রতিযোগিতা শেষ করার লক্ষ্যই ছিল ডাচদের। কিন্তু তাদের সঙ্গেই যে আরও এক বার অঘটন ঘটবে, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি রোলফ ফান ডার মারওয়েরা।
ম্যাচের প্রথম ওভারেই ছন্দে থাকা ম্যাক্স ও’দৌদ রান আউট হয়ে ফিরে যান। দ্বিতীয় উইকেট নেন বিস্ময় স্পিনার মহেশ তীক্ষণ। মাত্র ৩ রান দিয়ে দুই উইকেট তাঁর ঝুলিতে। দু’টি উইকেটই আসে ক্যারম বলে। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে দুই উইকেট নিয়ে বিপক্ষের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন লেগস্পিনার ওয়াহিন্দু হাসরঙ্গ। ৩২ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। মাত্র ৯ রান দিয়ে তিন উইকেট হাসরঙ্গের ঝুলিতে। নেদারল্যান্ডসের নীচের সারির ব্যাটারদের ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেন লাহিরু কুমার। মাত্র সাত রান দিয়ে তিন উইকেট তাঁর। এক উইকেট দুষ্মন্ত চামিরার।
শুক্রবার গ্রুপ ‘এ’-র চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেরা ১২-তে প্রবেশ করল শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রুপেই পরীক্ষা তাদের। ম্যাচ শেষে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শনকা বললেন, ‘‘বোলাররাই আমাদের সেরা ১২-র লড়াইয়ে পৌঁছে দিয়েছে।’’
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নেদারল্যান্ডস ৪৪ (কুমার ৩-৭) বনাম শ্রীলঙ্কা ৪৫-২ (কুশল ৩৩ অপরাজিত)। আট উইকেটে জয়ী শ্রীলঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy