Advertisement
E-Paper

রবিবার আবার ভারত-পাকিস্তান, বিশ্বকাপের ম্যাচের আগে দুই দলের শক্তি-দুর্বলতা বিচার করল আনন্দবাজার ডট কম

এশিয়া কাপে তিন বারই পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবেন মহিলারা। ভারত জিতে বিশ্বকাপ শুরু করেছে। পাকিস্তান প্রথম ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশের কাছে। দু’দলের শক্তি-দুর্বলতা বিচার করল আনন্দবাজার ডট কম।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৩৩
cricket

হরমনপ্রীত কউর (বাঁ দিকে) এবং ফতিমা সানা। — ফাইল চিত্র।

এশিয়া কাপে তিন বারই পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবেন মহিলারা। ভারত জিতে বিশ্বকাপ শুরু করেছে। পাকিস্তান প্রথম ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশের কাছে।

এক দিনের ফরম্যাটে অতীতে কোনও দিন পাকিস্তান হারাতে পারেনি ভারতকে। বিশ্বকাপে তারা যে দল নিয়ে এসেছে এবং যে ফর্মে রয়েছে, তাতে এ বারও ভারতকে হারানোর সম্ভাবনা কম। বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের হারেই তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। খাতায়-কলমে এগিয়ে ভারত। ম্যাচের আগে দু’দলের শক্তি-দুর্বলতা বিচার করল আনন্দবাজার ডট কম।

ভারতের শক্তি

১) ওপেনিং জুটি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৪ রানের জুটি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বিশ্বকাপে নামার আগে স্মৃতি মন্ধানা এবং প্রতীকা রাওয়াল ঝুড়ি ঝুড়ি রান করেছেন। ১৪টি ইনিংসে ১০৮৬ রান এসেছে তাদের জুটি থেকে। তার মধ্যে ছ’টি ৫০ এবং চারটি ১০০ রানের জুটি হয়েছে। বিশ্বের একমাত্র ওপেনিং জুটি হিসাবে এ বছর ১০০০ রান পেরিয়েছেন তারা। ঘরের মাঠে ৭০১ রান করেছেন। গড় ১১৬.৮৩। বোঝাই যাচ্ছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা হতে চলেছে ভারতের ওপেনিং জুটি।

২) স্পিন বিভাগ। উপমহাদেশের পিচে স্পিনারেরাই আসল ভূমিকা নেন। ভারত সেই বিভাগে এগিয়ে। প্রথম ম্যাচে ভারতের স্পিনারেরা আট উইকেট নিয়েছেন। দীপ্তি শর্মা এবং স্নেহ রানার বোলিং ভারতের সুবিধা করে দেবে। সঙ্গে রয়েছেন শ্রী চরণীও। এ বছর মহিলাদের দলে অন্যতম সেরা আবিষ্কার তিনি।

পাকিস্তানের শক্তি

১) যোগ্যতা অর্জন পর্বে পাঁচটি ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের কাছে হারলেও চমক দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তারা। মুনিবা আলি, আলিয়া রিয়াজ়ের মতো ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁরা দরকার ব্যাট হাতে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন।

২) ফতিমা সানার অধিনায়কত্ব। মাত্র ২২ বছরে বিশ্বকাপে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রথম ম্যাচে দল হারলেও তিনি নিজে ভাল ব্যাটিং এবং বোলিং করেছেন। বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। একটি চাল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

ভারতের দুর্বলতা

১) বোলিংয়ে বৈচিত্রের অভাব। জোরে বোলিং এবং স্পিন বিভাগে ভারতের বৈচিত্রের অভাব রয়েছে। অনেকেই বোলিং ধরে ফেলতে পারছেন। জোরে বোলিংয়ে রেণুকা সিংহ এবং ক্রান্তি গৌড়ের বোলিং অনেকটা একই ধাঁচের। প্রথম ম্যাচে রেণুকা খেলেননি। আমনজ্যোত কউরের বোলিং ভাল হলেও রান হজম করে ফেলছেন। জোরে গতিতে বল করার মতো কেউ নেই। স্পিন বিভাগে দীপ্তি এবং রানা দু’জনেই ডানহাতি অফস্পিনার। লেগস্পিনার না থাকার অভাব ভোগাতে পারে।

২) মিডল অর্ডারে ধারাবাহিকতার অভাব। টপ অর্ডার কোনও দিন ব্যর্থ হলে ভারতের মিডল অর্ডার খেলে দেবে, এমন নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। আগের ম্যাচে দীপ্তি রান পেয়েছেন বটে। তবে জেমাইমা রদ্রিগেস, রিচা ঘোষেরা ব্যর্থ। শেষ দিকে আমনজ্যোত ভাল না খেললে ভারতের রান আড়াইশো পেরোয় না। এই দিকটায় খেয়াল রাখতে হবে।

পাকিস্তানের দুর্বলতা

১) ধারাবাহিকতার অভাব। গত বারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে তারা ২৪টি ম্যাচের মধ্যে আটটি জিতেছে। নবম স্থানে শেষ করেছে। শীর্ষস্থানীয় দলগুলির সঙ্গে তাদের তফাত দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। বার বার অধিনায়ক বদলের প্রভাবও পড়েছে দলে। বিসমাহ মাহরুফ থেকে নিদা দার হয়ে এখন ফতিমা। দলের প্রতি বোর্ডের আত্মবিশ্বাস নেই। ফলে ক্রিকেটারেরাও ভাল খেলার আত্মবিশ্বাসপাচ্ছেন না।

২) দু’-একজন বাদে পাকিস্তানে ব্যাটিং অর্ডারে দায়িত্ব নেওয়ার মতো কেউ নেই। মুনিবা আলির সঙ্গে ভরসা দেওয়ার পর ওপেনার কেউ নেই। লোয়ার অর্ডার কোনও দলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারছে না। বিসমাহ এবং জাভেরিয়া খান অবসর নেওয়ায়, শেষ দিকে ম্যাচ শেষ করার মতো ক্রিকেটার কেউ নেই। নিদা না থাকায় বোলিং বিভাগও দুর্বল হয়ে পড়েছে।

India vs Pakistan ICC Women\'s ODI World Cup Harmanpreet Kaur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy