আইপিএলে টিকে থাকতে গেলে সব ম্যাচ জিততেই হত সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। সোমবার ঘরের মাঠে দিল্লিকে ১৩৩ রানে আটকে রেখে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল তারা। বাদ সাধল প্রকৃতি। দিল্লির ইনিংস শেষ হওয়ার পর যে বৃষ্টি নামল তা এক সময়ে থামলেও খেলা শুরু করা গেল না।
ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় এক পয়েন্ট করে পেল দুই দল। প্লে-অফের দৌড় থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ছিটকে গেল হায়দরাবাদ। ১১ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট হল তাদের। আর কোনও ভাবেই ১৪ পয়েন্টে পৌঁছনোর সম্ভাবনা নেই। চাপে থাকল দিল্লিও। এই ম্যাচ থেকে দু’পয়েন্ট পেলে চারে উঠে আসতে পারত। ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে থাকল পাঁচেই।
আগে ব্যাট করে ১৩৩/৭ তুলেছিল দিল্লি। প্রথম বলেই কামিন্স ফিরিয়ে দেন করুণ নায়ারকে। ঈশান কিশনের হাতে ক্যাচ দেন করুণ। এর পর আরও তিনটি ক্যাচ নেন ঈশান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ফাফ ডুপ্লেসিকে (৩) ফেরান কামিন্স। পঞ্চম ওভারে ফেরেন অভিষেক পোড়েল (৮)। পরের ওভারে ফিরে যান অক্ষর পটেলও (৬)। বিপদের সময়ে কেএল রাহুলের উপরে ভরসা করেছিল দিল্লি। তিনিও (১০) ব্যর্থ।
এক সময় ২৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল দিল্লির। সেখান থেকে হাল ধরার চেষ্টা করেন ট্রিস্টান স্টাবস এবং বিপরাজ নিগম। রানের গতির দিকে নজরই দেননি দু’জনে। কোনও রকমে ক্রিজ়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছিলেন। তাতেও সম্ভব হয়নি। ৩৩ রানের জুটি হওয়ার পর স্টাবসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন বিপরাজ।
আরও পড়ুন:
৬২ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল ১০০-রও কমে শেষ হয়ে যাবে দিল্লির ইনিংস। তা হতে দিলেন না স্টাবস এবং আশুতোষ। চাপে পড়ে এ দিন আশুতোষকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামিয়ে দিয়েছিল দিল্লি। তিনিই বাঁচালেন দলকে। দু’টি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্যে তাঁর ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস ১০০ পার করে দেয় দিল্লির। যোগ্য সঙ্গত দেন স্টাবসও (অপরাজিত ৪১)। দু’জনে সপ্তম উইকেটে ৪৬ রান তোলেন। ম্যাচ পুরো হলে হয়তো জিততে পারত না দিল্লি। তাই এক পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকার কথা অক্ষর পটেলদের।