ম্যাচের আগে জানিয়েছিলেন, ইডেন গার্ডেন্স তাঁকে কখনও নিরাশ করে না। সূর্যকুমার যাদবের কথাই সত্যি হল। ইডেনেই ফর্মে ফিরলেন ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। হরিয়ানার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানের ইনিংস খেললেন। হরিয়ানার বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের শেষে ২৯২ রানে এগিয়ে মুম্বই।
ক্রিজ় কামড়ে পড়ে থাকলে শতরানও পেতে পারতেন সূর্য। তবে লাল বলের ফরম্যাট হলেও তাঁর আগ্রাসী খেলা নজর কেড়েছে। মাত্র ৮৮ বল খেলেছেন সূর্য। আটটি চার এবং দু’টি ছয় মেরেছেন। শতরানের সামনে অজিঙ্ক রাহানেও। তিনি ৮৮ রানে অপরাজিত।
দিনের শুরুতে নায়ক হয়ে ওঠেন কেকেআরে খেলে যাওয়া শার্দূল ঠাকুর। ৫৮ রানে ছয় উইকেট নেন তিনি। হরিয়ানার ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৩০১ রানে। শামস মুলানি এবং তনুশ কোটিয়ানও দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন।
তবে মুম্বইয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি। ওপেনার আকাশ আনন্দ (১০) এবং আয়ুষ মাত্রে (৩১) রান পাননি। সিদ্ধেশ লাড (৪৩) শুরুটা ভাল করেও টিকে থাকতে পারেননি। ১১৬/৩ অবস্থা থেকে রাহানে এবং সূর্য মুম্বইয়ের হাল ধরেন। সূর্য শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন। ২৩ বলে ২৮ রান করে। সুমিত কুমারকে পর পর তিনটি চার মারেন। ১৪ ইনিংস পর অর্ধশতরান করেন সূর্যকুমার। তুলনায় রাহানে অনেক ধীরস্থির হয়ে খেলেছেন। তৃতীয় দিনের শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ২৭৮/৪।
আরও পড়ুন:
অন্যান্য ম্যাচে, জম্মু ও কাশ্মীরের ২৮০ রানের জবাবে কেরল তুলেছে ২৮১। দ্বিতীয় ইনিংসে জম্মু ও কাশ্মীরের স্কোর ১৮০/৩। এগিয়ে ১৭৯ রানে। বিদর্ভের ৩৫৩ রানের জবাবে তামিলনাড়ু ২২৫ রানে শেষ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে বিদর্ভের স্কোর ১৬৯/৫। এগিয়ে ২৯৭ রানে। সৌরাষ্ট্রের ২১৬ রানের জবাবে গুজরাত ৫১১ রান তুলেছে। জয়মিত পটেল এবং উর্বিল পটেল শতরান করেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরাষ্ট্র ৩৩/০। পিছিয়ে ২৬২ রানে।