অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে নিউজ়িল্যান্ডের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: টুইটার
ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল অস্ট্রেলিয়া। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হারতে হল গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিনদের। গত বারের বিশ্বকাপের ফাইনালে এই নিউজ়িল্যান্ডকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই হারের বদলা নিলেন কেন উইলিয়ামসনরা।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন দুই ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে একের পর এক বড় শট খেলছিলেন অ্যালেন। তাঁকে আটকে রাখা যাচ্ছিল না। মাত্র চার ওভারেই ৫০ রান হয়ে যায় নিউজ়িল্যান্ডের।
অস্ট্রেলিয়াকে খেলায় ফেরান জশ হেজ়লউড। ১৬ বলে ৪২ রান করে হেজ়লউডের বলে আউট হন অ্যালেন। উইলিয়ামসন ধীরে ব্যাট করলেও রানের গতি বাড়ান কনওয়ে। নিজের অর্ধশতরান করেন তিনি। ২৩ বলে ২৩ রান করে আউট হন উইলিয়ামসন। গ্লেন ফিলিপ্স ১২ রান করেন। শেষ দিকে কনওয়েকে সঙ্গ দেন জেমস নিশাম।
এক সময় দেখে মনে হচ্ছিল এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই শতরান করবেন কনওয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি ৫৮ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তাঁর সর্বোচ্চ রান। নিশাম অপরাজিত থাকলেন ২৬ রান করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই টিম সাউদির বলে বোল্ড হন ডেভিড ওয়ার্নার। ফিঞ্চ ও মিচেল মার্শ কয়েকটি বড় শট খেললেও বড় রান করতে পারেননি। একমাত্র গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কিছুটা রান করলেন। কিন্তু জুটি বাঁধতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। বলা ভাল, বাঁধতে দিলেন না নিউজ়িল্যান্ডের বোলাররা। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন তাঁরা।
বোলারদের দারুণ ভাবে সাহায্য করলেন কিউয়ি ফিল্ডাররা। গ্লেন ফিলিপ্সের নেওয়া মার্কাস স্টোইনিসের ক্যাচ হয়তো এ বারের বিশ্বকাপের সেরা ক্যাচ হয়ে থাকবে। টিম ডেভিডকেও দারুণ ক্যাচে সাজঘরে ফেরান নিশাম। মাত্র ৮৯ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেট পড়ে যায়। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারলেন না তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ১১১ রানে অলআউট হয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ৮৯ রানে ম্যাচ জেতে নিউজি়ল্যান্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy