প্রথম দু’দিনের খেলা দেখেই বোঝা গিয়েছিল, গলের উইকেট ব্যাটারদের স্বর্গ। উইকেট ছুড়ে দিয়ে না এলে আউট করা মুশকিল। প্রথম ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের শতরানে ভর করে ৪৯৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শতরান করলেন পাথুম নিসঙ্ক। ১৮৭ রান করলেন তিনি। তাঁর ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরল শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের শেষে তাদের রান ৪ উইকেটে ৩৬৮। বাংলাদেশের থেকে ১২৭ রান পিছিয়ে তারা।
তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশের শেষ উইকেট ফেলতে বেশি ক্ষণ সময় লাগেনি শ্রীলঙ্কার। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চালিয়ে খেলছিল শ্রীলঙ্কা। নিসঙ্ক একটু ধীরে খেললেও অপর ওপেনার লাহিরু উদারা বড় শট খেলছিলেন। ওভার প্রতি ৪ রানের গড় ছিল। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ধাক্কা দেন তাইজুল ইসলাম। ২৯ রানে আউট হন উদারা।
দ্বিতীয় উইকেটে নিসঙ্কের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিজ্ঞ দীনেশ চণ্ডীমল। নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান তিনি। বাংলাদেশের বোলারেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। শতরান করেন নিসঙ্ক। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, পাকা রাস্তায় ব্যাট করছেন। চণ্ডীমলও অর্ধশতরান করেন। তাঁদের ১৫৭ রানের জুটি ভাঙেন নইম হাসান। ৫৪ রানে চণ্ডীমলকে আউট করেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার আরও এক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ়ের এটাই শেষ সিরিজ়। তিনি নামার সময় ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। ম্যাথুজ়ের সঙ্গেও জুটি হয় নিসঙ্কের। ৩৯ রান করে মোমিনুল হকের বলে ফেরেন ম্যাথুজ়। চতুর্থ উইকেটে কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে আবার জুটি বাঁধেন নিসঙ্ক। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, দ্বিশতরান করে তবেই থামবেন। সাবলীল ব্যাট করছিলেন। তাড়াহুড়ো করছিলেন না। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে আউট হয়ে যান নিসঙ্ক।
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর হাসান মাহমুদের একটা বল পিচে পড়ে ভিতরের দিকে ঢোকে। নিসঙ্ক ঠিক জায়গায় ব্যাট আনতে পারেননি। বল তাঁর ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে উইকেটে গিয়ে লাগে। নিসঙ্ককে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, আউট হয়ে হতাশ তিনি। তার পরে আর উইকেট পড়েনি। দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ক্রিজ়ে রয়েছেন মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনঞ্জয় ডি’সিলভা। মেন্ডিস ৩৭ ও ডি’সিলভা ১৭ রানে ব্যাট করছেন।
গলের উইকেটের যা অবস্থা, তাতে শ্রীলঙ্কার কাছে সুযোগ রয়েছে লিড নেওয়ার। কুশল মেন্ডিসের মতো ব্যাটার এখনও নামেননি। যা পরিস্থিতি তাতে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস তাড়াতাড়ি শেষ করতে না পারলে এই ম্যাচ জেতা মুশকিল বাংলাদেশের। ড্র হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।