মুশির খান। —ফাইল চিত্র।
চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও ছোটদের বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন ভারতের একাধিক ক্রিকেটার। তাঁদের অন্যতম মুশির খান। মুম্বইয়ের তরুণ অলরাউন্ডারের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি ‘বিদ্রোহী’ ক্রিকেটার সরফরাজ খানের ভাই। দাদার পরিচয় ছাপিয়ে মুশির অবশ্য এখন নিজেই আলোচিত ক্রিকেটার।
ক্রিকেটই মুশিরের সব কিছু। মুম্বইয়ের পরিচিত ক্রিকেট কোচ নওশাদ খানের পুত্র। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা। প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া মনে করছেন, দাদা সরফরাজকে ছাপিয়ে যেতে পারেন মুশির। তিনি বলেছেন, ‘‘মুশিরকে আমার ভীষণ ভাল লাগে। ক্রিকেটজীবনের শেষে গিয়ে নিজের দাদাকে ছাপিয়ে যেতে পারে মুশির। ওর খেলার সব থেকে ভাল দিক হল টাইমিং। এটাই ওকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে।’’
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রাক্তন ব্যাটার আরও বলেছেন, ‘‘মুশিরের পায়ের ব্যবহার খুব ভাল। সোজা ব্যাটে খেলতে পারে। উইকেটের সোজাসুজি বলে দারুণ শট খেলতে পারে। স্পিন বল খেলতে দক্ষ। এমন কিছু শট আছে ওর হাতে, যেগুলো বেশি পরিচিত নয়। ওর সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল।’’
অনেক কিছু ভালর মধ্যেও মুশিরের একটি দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছেন আকাশ। তিনি বলেছেন, ‘‘একটা জায়গায় উন্নতি করতে হবে মুশিরকে। পিছনের পায়ে ওকে একটু দুর্বল মনে হচ্ছে। এই জায়গাটা শক্তিশালী করতে হবে। ফাইনালে পিছনের পায়ে খেলতে গিয়ে এক বার জীবন পেয়েছে। সেমিফাইনালে পিছনের পায়ে শট নিতে গিয়েই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিল। বড় ইনিংস খেলতে চাইলে পিছনের পায়ে খেলা উন্নত করতে হবে মুশিরকে। খাটো লেংথের বলের বিরুদ্ধেও আরও শক্তিশালী হতে হবে। পরিশ্রম এবং অনুশীলন করলে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ফেলা সম্ভব।’’
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচে ৬০ গড়ে ৩৬০ রান করেছেন মুশির। বল হাতেও সাফল্য পেয়েছেন। প্রতিযোগিতায় ৭টি উইকেট পেয়েছেন। আকাশের মতো অনেকেই মুম্বইয়ের তরুণ অলরাউন্ডারের মধ্যে ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy