পঞ্চম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে চোটের খাতায় নাম লেখালেন ক্রিস ওকস। ফিল্ডিং করার সময় তিনি কাঁধে চোট পান। ফলে বাকি সিরিজ়ে তাঁর বোলিং করা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
মিড-অফ থেকে একটি শটের পিছনে ধাওয়া করছিলেন ওকস। বাউন্ডারির কাছে পৌঁছে ডাইভ দেওয়ার সময় বাঁ কাঁধের উপরে ভর দিয়ে পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ডের ফিজ়িয়োকে ডেকে নেন। শোনা যাচ্ছে, চোটের জায়গায় রাতেই স্ক্যান করা হবে।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে গাস অ্যাটকিনসন বলেছেন, “চোটের মাত্রা সম্পর্কে আমি জানি না। কিন্তু আমার দেখে খুব একটা ভাল মনে হয়নি।” যোগ করেন, “সিরিজ়ের শেষ ম্যাচে এরকম ভাবে চোট পেলে দলের জন্য খুবই খারাপ ব্যাপার। আশা করব চোটের মাত্রা গুরুতর হবে না।”
প্রথম দিনে ১৪ ওভার বল করে ৪৬ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছেন ওকস। এখনও পর্যন্ত তিনি সিরিজ়ে ১১ উইকেট পেয়েছেন। তা ছাড়া ইংল্যান্ডের পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ তিনি। ফলে তিনি আর বোলিং করতে না পারলে নিঃসন্দেহে তা ইংল্যান্ডের জন্য সবচেয়ে বড় খারাপ খবর।
এ দিকে শুভমন গিলের ‘আত্মঘাতী’ রান আউট নিয়ে তোপ দেগেছেন রিকি পন্টিং থেকে সুনীল গাওস্কর। এই ঘটনাকে ভারতীয় দলের জন্য ‘বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়ে পন্টিং বলেছেন, “ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। ওই রান কখওনই হয় না। অ্যাটকিনসন সচেতন ছিল। তাই তাড়াতাড়ি পৌঁছে বল হাতে নিয়েই উইকেট ভেঙে দেয়। ব্যাটসম্যান হিসেবে কখওনই এরকম আউট হতে কেউ চাইবে না।”
অথচ এ দিন একাধিক নজির গড়ার সামনে ছিলেন গিল। আউট হওয়ার আগে তিনি ভাঙেন সুনীল গাওস্করের রেকর্ড। এর আগে ১৯৭৮-’৭৯ সালে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে সর্বাধিক ৭৩২ রানের নজির গড়েছিলেন গাওস্কর। গিল করেন মোট ৭৪৩ রান। সেই সানিও ভারতের অধিনায়কের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন। ‘আত্মঘাতী’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, “আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। পিচের প্রায় মাঝখান থেকে যদি গিল উইকেটে ফিরতে না পারে, তবে কী ভাবে সুদর্শন ২০ গজ দৌড়ে স্ট্রাইকিং প্রান্তে পৌঁছত।”
গিলের রান আউটকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে ভারতের সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে বলেছেন, “গিল সেরা ছন্দে ছিল। ওর সাবলীল ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল পিচে কিছুই নেই। কিন্তু মুহূর্তের সিদ্ধান্তহীনতায় ফিরতে হল গিলকে। এই আউট দুর্ভাগ্যজনক।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)