স্টেডিয়ামে গিয়ে পুত্র বিরাট কোহলির সাফল্যের সাক্ষী হতে পারেননি মা সরোজ কোহলি। দিল্লিতে নিজের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সেখানে টেলিভিশনে কোহলির প্রথম আইপিএল জয় দেখেছেন সরোজ। পুত্রের হাতে ট্রফি দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মা। কেঁদে ফেলেন তিনি।
দিল্লির বাড়িতে কোহলির বোন ভাবনা ও ভাই বিকাশের সঙ্গে বসে খেলা দেখেছেন সরোজ। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ১৯১ রান তাড়া করতে নেমে পঞ্জাব হারে ৬ রানে। ম্যাচ জেতার পরেই মাটিতে মুখ গুঁজে বসে পড়েন কোহলি। কান্না আটকাতে পারেননি তিনি। কখনও বন্ধু এবি ডিভিলিয়ার্সকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন তো কখনও স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, ১৭ বছর ধরে ট্রফি জয়ের আক্ষেপের কারণেই কোহলির এই আবেগের বিস্ফোরণ।
কোহলি যখন কাঁদছিলেন তখন টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে কাঁদছিলেন সরোজও। তাঁকে জড়িয়ে ধরে তখন দাঁড়িয়ে ভাবনা। পরে পুত্র বিকাশকে জড়িয়ে ধরেও কাঁদেন সরোজ। সেই সব ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন ভাবনা। কোহলির মায়ের এই কান্নার ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
দাদার সাফল্যের পর তাঁদের আনন্দ সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন ভাবনা। তিনি লেখেন, “এটা এমন একটা মুহূর্ত যা যেমন আমাদের হাসিয়েছে, তেমনই কাঁদিয়েছে। কিন্তু এত বছর ধরে এই দিনটার জন্য প্রতিটা সেকেন্ড যে ভাবে তুমি নিঃশব্দে অপেক্ষা করেছ, ধৈর্য ধরে থেকেছো তার কোনও তুলনা নেই। ঈশ্বর ও আরসিবির সমর্থকদের কাছে ধন্যবাদ প্রকাশের কোনও ভাষা আমাদের নেই। এই জয় প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জয়।” পুত্রের এই সাফল্যে তাঁদের স্বর্গীয় পিতাও যে গর্বিত সে কথাও জানিয়েছেন ভাবনা।
আইপিএল জেতার পর কোহলির আনন্দ ছিল দেখার মতো। যে ভাবে তিনি সতীর্থ থেকে শুরু করে তাঁর প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীর কোলে চেপে আনন্দ করেছেন, তা দেখে বোঝা যাচ্ছিল কতটা তৃপ্ত তিনি। পরের দিন বেঙ্গালুরুতে সমর্থকদের সঙ্গে উৎসবের পরিকল্পনা করেন কোহলিরা। কিন্তু সেখানে বিশৃঙ্খলার জন্য পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৩ জন। এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন কোহলি। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে আরসিবি।