Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Virender Sehwag

Virender Sehwag: ধোনির জন্য এক দিনের ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বীরু! সচিন শেষে বাঁচান

২০০৮ সালে এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবেন সহবাগ। সে সময় ছন্দে না থাকায় প্রথম একাদশ থেকে ছিটকে যান। সচিন তাঁকে অবসর নিতে দেননি।

বীরেন্দ্র সহবাগ।

বীরেন্দ্র সহবাগ। ফাইল ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২২ ১৬:২৫
Share: Save:

ভাগ্যিস সচিন তেন্ডুলকর থামিয়ে ছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগকে। সচিন না থাকলে ২০০৮ সালেই এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতেন সহবাগ। ক্রিকেটপ্রেমীরা বঞ্চিত হতেন বহু আগ্রাসী ইনিংস দেখা থেকে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির একটি সিদ্ধান্তে হতাশা থেকেই অবসর নিতে যাচ্ছিলেন সহবাগ।

একটি সাক্ষাৎকারে সহবাগ ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা বলেছেন। সে সময় রান পাচ্ছিলেন না ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার। টেস্টে রান পেলেও এক দিনের ক্রিকেটে রান পাচ্ছিলেন না। ফলে এক দিনের ক্রিকেটে প্রথম দল থেকে বাদ পড়তে হয় সহবাগকে। তখনই ঠিক করে ফেলেন এক দিনের ক্রিকেটে আর নয়।

সহবাগ বলেছেন, ‘‘২০০৮ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ই এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসরের চিন্তা মাথায় আসে। টেস্টে ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলাম। কিন্তু এক দিনের ম্যাচে কিছুতেই রান পাচ্ছিলাম না। পর পর তিন-চারটে ম্যাচে ব্যর্থ হই। ধোনি আমাকে প্রথম দল থেকে ছেঁটে ফেলে। তখনই মনে হয়েছিল এক দিনের ক্রিকেট আর নয়, শুধু টেস্ট খেলব।’’

সে সময় ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন অনিল কুম্বলে। শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিতেন ধোনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পর ত্রিদেশীয় এক দিনের সিরিজ হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া, ভারত ছাড়াও খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। প্রতিযোগিতার ১০টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে খেলার সুযোগ পান সহবাগ। তাঁকে ছাড়াই তিন ম্যাচের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত।

সহবাগ বলেছেন, ‘‘সচিন আমার সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিল। আমাকে বলে, ‘এটা তোমার জীবনের একটা খারাপ সময়। অপেক্ষা কর। সফর শেষ হলে বাড়ি যাও। খুব ভাল করে ভাব। তার পরে ঠিক কর কী করতে চাও।’ ওর কথাতেই তখন এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিইনি।’’

এই ঘটনার পর আরও পাঁচ বছর দেশের হয়ে এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন সহবাগ। এর পর থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ৬৮টি এক দিনের ম্যাচে ৪৫.৫৫ গড়ে ২,৯৬১ রান করেন তিনি। শতরান করেছেন সাতটি। সহবাগ ক্রিকেট জীবনে এক দিনের ম্যাচে মোট ১৫টি শতরান করেন। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক শতরানই তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ২০০৮ সালে অবসরের কথা ভাবার পর।

২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন সহবাগ। ২০১৩ পর্যন্ত দেশের হয়ে টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেট খেলেছেন। শুধু সচিনের কথাতেই কি অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছিলেন? বিরাট কোহলীর দৃষ্টান্ত দিয়ে সহবাগ বলেছেন, ‘‘দু’ধরনের খেলোয়াড় হয়। এক দল এগুলোকে গুরুত্ব দেয়, কারণ তারা চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে। তারা এ রকম পরিস্থিতি উপভোগ করতে চায়। কোহলী তেমনই এক জন ক্রিকেটার। কোহলী কিন্তু সব সমালোচনা শোনে। মুখে কিছু বলে না। ব্যাটই ওর হয়ে জবাব দেয়। সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করে। আর এক ধরনের খেলোয়াড়রা এ সব সমালোচনাকে পাত্তা দেয় না। ওরা জানে, মানুষ ওদের থেকে কী চায়। আমি এই দ্বিতীয় দলের। সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামাতাম না। আমার মানসিকতাই ছিল খেলব, রান করব এবং বাড়ি চলে যাব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE