যশ ধুল। ছবি টুইটার
শুক্রবারই অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতের দল ঘোষণা করা হয়েছে। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন দিল্লির যশ ধুল। ইতিমধ্যেই ভারতের এই তরুণ তারকাকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার এই ঘোষণার পর দ্বারকার বাল ভবন স্কুলের অ্যাকাডেমির মাঠে তাঁকে সংবর্ধিত করা হয়।
ভারতীয় ক্রিকেটে যশ এখনও পরিচিত নন। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নেতৃত্ব নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ এনে দিয়েছে তাঁর কাছে। অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই যশের ফোন থামছে না। বন্ধুবান্ধব থেকে আত্মীয়স্বজন, শুভেচ্ছার বন্যা এসেই চলেছে। কিন্তু যশ পা রাখছেন মাটিতে। ভারতকে অষ্টম এশিয়া কাপ জেতাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি।
যশের উঠে আসার পিছনে সব থেকে বড় অবদান রয়েছে তাঁর পরিবারের। যশ যে ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারেন, সেটা সবার আগে বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর মা নীলম। যশ বলেছেন, “ছ’বছর আগের কথা। একদিন রাস্তায় আমাকে শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে দেখেছিলেন মা। তারপরেই আমাকে অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন। এ ভাবেই আমার ক্রিকেটজীবন শুরু হয়।”
জনকপুরীর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন যশ। এরপর থেকেই তাঁর জীবনে উত্থান হতে থাকে। অনূর্ধ্ব-১৬ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৮৬ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁকে অধিনায়ক করে দেওয়া হয়। তাঁর নেতৃত্বে আট বছর পর দিল্লি নকআউটে ওঠে। কিন্তু যশ জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়ার আগেই হাজির হয় অতিমারি। তখন বাড়িতে বাবার কাছে ছাদে অনুশীলন করতেন। মা, বোন প্রত্যেকে তাঁকে বল করতেন।
এ ছাড়াও যশের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন তাঁর প্রয়াত ঠাকুর্দা জগৎ সিংহ। যশ বলেছেন, “ম্যাচ হোক বা অনুশীলন, ঠাকুর্দা আমাকে সব জায়গায় নিয়ে যেতেন। একসঙ্গে খাবার খেতাম আমরা। আমার যাতে কোনও খারাপ অভ্যাস না হয় বা অসৎ সঙ্গে না পড়ি, সে দিকে সর্বদা খেয়াল রাখতেন তিনি। যতক্ষণ না খেলা বা অনুশীলন শেষ হত, ততক্ষণ অপেক্ষা করতেন। খেলার ভুলত্রুটিও শুধরে দিতেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy