ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন সাইকা। তিনি চাইতেন মেয়ে ক্রিকেট খেলুক। —ফাইল চিত্র
উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে বাংলার ক্রিকেটারদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সব থেকে সফল সাইকা ইশাক। প্রথম ম্যাচেই চার উইকেট নিয়ে নজরে আসেন পার্ক সার্কাসের মেয়ে। এখন ক্রিকেট খেলাই যাঁর জীবন, তিনি জানাচ্ছেন যে ক্রিকেট তিনি খেলতেই চাননি। বাবা চেয়েছিলেন বলেই ক্রিকেটার হন সাইকা।
ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন সাইকা। তিনি চাইতেন মেয়ে ক্রিকেট খেলুক। সাইকা বলেন, “আমার ক্রিকেটার হওয়ার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। বাবা আমাকে ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় করায়। এখন ক্রিকেটই আমার সব কিছু। ক্রিকেটার হওয়ার জন্য বাবা আমাকে উৎসাহ দিয়েছিল।”
শুধু বাবার উৎসাহ নয়, সাইকার ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পিছনে আরও একজন রয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাইকা জানালেন ঝুলন গোস্বামীর কথা। যিনি এখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের বোলিং কোচ। তাঁর প্রিয় ঝুলুদি (ঝুলন গোস্বামী এই নামেই পরিচিত) সম্পর্কে সাইকা বলেন, “আমি আজ যা হয়ে উঠেছি সেটার পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে ঝুলুদির। কোনও রকম সমস্যা হলেই আমি ওর কাছে যাই। সব সময় পাশে পেয়েছি ঝুলুদিকে। ও আমার অনুপ্রেরণা। খুব ইতিবাচক লাগে ঝুলুদির কথা শুনলে। ওর মতো খেলতে চাইতাম। যখন থেকে ক্রিকেট খেলে শুরু করেছি, তখন থেকে ঝুলুদিকেই অনুসরণ করেছি।”
খুব দূরের কথা ভাবেন না সাইকা। তিনি বলেন, “আমি উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ খেলার জন্য আলাদা ভাবে কোনও প্রস্তুতি নিইনি। নিজের প্রতিটা বল নিয়ে ভেবেছি। আমি সেই ভাবেই এগোতে পছন্দ করি। প্রতিটা বল ধরে এগোতে চাই।” মুম্বই দলে তিনি পাশে পেয়েছেন হরমনপ্রীত কৌরকে। সাইকা বলেন, “হ্যারিদি (হরমনপ্রীত) আমার বোলিং দেখে খুশি। আমাকে খুব সমর্থন করে। যখনই দলের উইকেট প্রয়োজন হয়েছে, আমাকে বল দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মুম্বই দলে আমার সময়টা বেশ ভাল কেটেছে। পুরো দল একে অপরকে সাহায্য করে। সকলের সমর্থনের জন্যই এত উইকেট পেয়েছি।”
একটা সময় চোটের কারণে বেশ কিছু দিন খেলতে পারেননি সাইকা। তিনি বলেন, “লোকে তখনই তোমাকে নিয়ে কথা বলে, যখন তুমি ভাল খেল। যখন খেলতে পারিনি, তখন কেউ মনে রাখে না। সেই সময় আমার মাথায় শুধু একটা কথাই আসত, আমার কিছু হারানোর নেই। ভবিষ্যতে কী হবে সেটা তো তখন জানতাম না। তাই শুধু ওই কথাটাই আমার মাথায় কাজ করত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy