Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
WPL 2023

বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের দিল্লিকে হারিয়ে মেয়েদের প্রথম আইপিএল জিতল হরমনপ্রীতের মুম্বই

বিসিসিআই আয়োজন করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ। প্রথম বার মেয়েদের আইপিএল খেলতে নেমেই ট্রফি জিতল মুম্বই। ছেলেদের আইপিএলে সব থেকে বেশি বার ট্রফিজয়ী দল সফল মেয়েদের প্রতিযোগিতাতেও।

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ জয়ের হাসি হরমনপ্রীতদের মুখে।

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ জয়ের হাসি হরমনপ্রীতদের মুখে। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩ ২২:৪৪
Share: Save:

আইপিএল মানেই ট্রফি জয়ের ভাগ্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে। ছেলেদের আইপিএল রোহিত শর্মার হাত ধরে পাঁচ বার জিতেছে অম্বানিদের দল। সেই জয়ের ধারা মেয়েদের আইপিএলেও (উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ) ধরে রাখলেন হরমনপ্রীত কৌররা। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে জিতল মুম্বই। প্রথম বার মেয়েদের আইপিএলেই ট্রফিতে নিজেদের নাম লিখে দিল তারা।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দু’টি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তিনি। কিন্তু তাঁর দল যে ব্যাটিং শুরু করল তাতে জয়ের আশা প্রথম ইনিংসেই কমে গিয়েছিল। ল্যানিং ছাড়া দিল্লির কোনও ব্যাটারই ক্রিজে দাঁড়াতে পারছিলেন না। ৩৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় দিল্লি। ইসি ওয়ং একাই তিন উইকেট তুলে চাপে ফেলে দেন তাঁদের। কিন্তু ল্যানিং লড়াই চালিয়ে যান। তিনি ২৯ বলে ৩৫ রান করেন। তিনি যখন আউট হন তখন দিল্লির স্কোর ৭৪/৫। এর পরেই দিল্লির ব্যাটিং হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। হিলি ম্যাথুজ় চার ওভারে পাঁচ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। দিল্লির স্কোর হয়ে যায় ৭৯/৯। সেই সঙ্গে বেগনি রঙের টুপিও নিশ্চিত করে ফেলেন ম্যাথুজ়।

সেই সময় মনে হয়েছিল দিল্লি হয়তো উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ফাইনালে ১০০ রানও তুলতে পারবে না। কিন্তু ভারতের দুই বোলার শিখা পাণ্ডে এবং রাধা যাদব অন্য রকম ভাবছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল ব্যাট। দিল্লির শেষ উইকেটে তাঁরাই তুললেন ৫২ রান। শিখা ১৭ বলে ২৭ রান করেন এবং রাধা ১২ বলে ২৭ রান করেন। ২০ ওভার খেলে দিল্লি। তোলে ১৩১ রান। কিছুটা লড়াই করার মতো জমি তৈরি করেন তাঁরা।

মুম্বইয়ের ব্যাটাররা যদিও কখনওই চাপে পড়েননি। ১৩২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩ রানে ২ উইকেট হারালেও হরমনপ্রীত এবং ন্যাট সিভার ব্রান্ট দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। তাঁরা ৭২ রানের জুটি গড়েন। হরমনপ্রীত ৩৭ রান করে আউট হয়ে গেলেও সিভার শেষ পর্যন্ত ছিলেন। তিনি দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। শেষ বেলায় এমেলিয়া কের ৮ বলে ১৪ রান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন দলকে ট্রফি জেতানোর ক্ষেত্রে।

দল না জিতলেও এই প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি রান এসেছে ল্যানিংয়ের ব্যাট থেকে। ৯ ম্যাচে ৩৪৫ রান করেছেন তিনি। কমলা টুপির মালিক তিনি। সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন ম্যাথুজ়। তিনি ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE