Advertisement
E-Paper

দু’সপ্তাহ জাপানে সব খেলা বন্ধ, নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সংক্রমণ ঠেকাতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবে আবেদন করেছেন, আগামী দু’সপ্তাহ সে দেশে যেন সব ধরনের টুর্নামেন্ট এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা আদান-প্রদান বন্ধ রাখার।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৩৮
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব। আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। চিনে যার সংক্রমণ ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে। শুধু চিন নয়। আতঙ্কিত তার প্রতিবেশী দেশও। এমনকি সংক্রমণের ঝড় এবং আতঙ্ক আছড়ে পড়েছে ইউরোপেও। জাপানে জে লিগ যেমন বন্ধ, তেমনই ইটালিতে সেরি আ-র ম্যাচও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। বহুক্ষেত্রে খেলা হচ্ছে স্টেডিয়ামের দরজা বন্ধ রেখে। আতঙ্কিত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ক্লাব জুভেন্টাসও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে, মাউরিসিয়ো সাররি ফুটবলারদের কাছে মাথা ঠান্ডা রাখার আবেদন করেছেন। উদ্বিগ্ন উয়েফাও। ইউরোর আগে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।

শুধু চিনে নয়, বহু জায়গায় টুর্নামেন্ট বাতিল করতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় ভয়ে খেলতে যাচ্ছে না বহু দেশ। মার্চে দিল্লিতে বিশ্বকাপ শ্যুটিং হওয়ার কথা। চিন-সহ বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, টুর্নামেন্টে অংশ নেবে না। সব চেয়ে আতঙ্কিত বোধহয় জাপান। ২৪ জুলাই টোকিয়োয় শুরু হচ্ছে অলিম্পিক্স। চলবে ৯ অগস্ট পর্যন্ত। সংক্রমণ ঠেকাতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবে আবেদন করেছেন, আগামী দু’সপ্তাহ সে দেশে যেন সব ধরনের টুর্নামেন্ট এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা আদান-প্রদান বন্ধ রাখার। জাপানের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী এক থেকে দু’সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। সরকার মনে করে, খেলাধুলো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জনসমাবেশের মাধ্যমে সংক্রমণের সম্ভাবনা এই মুহূর্তে সব চেয়ে বেশি।’’

জাপানেও সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৭০ জন বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে বড় সংখ্যায় জাহাজে সংক্রমিত জাপানিদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। অলিম্পিক্স সফল ভাবে আয়োজন করতে সে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, গেমস পরিত্যক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আয়োজন সফল করতে তাঁরা সব ধরনের সতর্কতাই নিয়েছেন।

এ দিকে ভারতের জাতীয় রাইফেল সংস্থা জানাচ্ছে, করোনাভাইরাসের ভয়ে মার্চে চিন-সহ বেশ কিছু দেশ শ্যুটিং বিশ্বকাপে আসবে না বলে জানিয়েছে। সংস্থার প্রেসিডেন্ট রনিন্দর সিংহ বলেছেন, ‘‘চিন ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। চিনারা চায় না ওদের জন্য কোনও রকম সংক্রমণ হোক। জাতীয় নীতি মেনে আসছে না তাইওয়ান, হংকং, উত্তর কোরিয়া ও তুর্কমেনিস্তানের মতো দেশ। আসবে না পাকিস্তানও। ওরা অবশ্য অন্য কারণ দেখিয়েছে। পাকিস্তানে নতুন কোচ এসেছেন। শ্যুটারেরা সে ভাবে তৈরি হতে পারেননি। তাই তাঁরা আসবেন না।’’

Novel Coronavirus Shinzo Abe Japan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy