Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
বাউন্সারের মুখে কোহলির টিম

সব পিচে ভারতের দুঃস্বপ্ন হতে চান স্টেইন

ঘূর্ণি উইকেট? ভারতের তিন স্পিনার? মোহালির উইকেটের চরিত্র বদল? এ সব নিয়ে কোনও হেলদোলই নেই ডেল স্টেইনের। দিব্যি আছেন তিনি। পুরো খোশ মেজাজে। কেন এই খোশ মেজাজ? মূলত দুটো কারণে, জানাচ্ছেন ক্রিকেটের স্টেইন-গান নিজেই। একে তো ভারতে বোলিং করতে তাঁর দারুণ লাগে।

রাজীব ঘোষ
মোহালি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৫০
Share: Save:

ঘূর্ণি উইকেট? ভারতের তিন স্পিনার? মোহালির উইকেটের চরিত্র বদল?

এ সব নিয়ে কোনও হেলদোলই নেই ডেল স্টেইনের। দিব্যি আছেন তিনি। পুরো খোশ মেজাজে।

কেন এই খোশ মেজাজ? মূলত দুটো কারণে, জানাচ্ছেন ক্রিকেটের স্টেইন-গান নিজেই। একে তো ভারতে বোলিং করতে তাঁর দারুণ লাগে। কেন, সে কথায় না হয় পরে আসা যাবে। কিন্তু আরও একটা কারণ হল বীরেন্দ্র সহবাগের ভারতীয় দলে না থাকা।

মঙ্গলবার মোহালিতে প্র্যাকটিসের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আড্ডায় বীরুকে নিয়ে বললেন তাঁর আতঙ্কের কথা, যা আগে কখনও বলেননি। এখনকার ভারতীয় দলের ওপেনারদের প্রসঙ্গ তুলতে স্টেইন বলেন, ‘‘আপনাদের ওপেনাররা ভালই। কিন্তু সহবাগের ধারে কাছেও আসে না। ও তো ছিল বোলারদের দুঃস্বপ্ন।’’ খবরের শিরোনাম পেয়ে যাওয়া সাংবাদিকদের স্টেইন বলে চললেন, ‘‘ভারতে এসে অনেককে বল করেছি। কিন্তু বীরেন্দ্র সহবাগ আমার কাছে একটা দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিল। চেন্নাইয়ে ওর তিনশোর ইনিংসটা সব সময় মনে থাকবে। একটু ভুল করলেই ও বল ওড়াবে, এমনই ব্যাটসম্যান ছিল সহবাগ।’’ সেই সহবাগকে এ বার বিপক্ষে না পাওয়ায় যে বেশ আনন্দেই রয়েছেন প্রোটিয়াদের প্রধান পেস অস্ত্র, তা বোঝাই গেল।

কিন্তু সহবাগের অংশটুকু বাদ দিলে ভারতে বোলিং করা বরাবরই তাঁর পছন্দের কাজ কেন? এর উত্তরে স্টেইন বলেন, ‘‘ভারতের মাঠগুলো বেশ সমান। অন্য দেশের মাঠের মতো ঢালু নয়। ওয়ান্ডারার্সে রান আপ নিতে গিয়ে মনে হয় যেন পাহাড়ে চড়ছি। এখানে সে রকম নয়। এখানে লেগওয়ার্কটা অনেক কম করতে হয়। তাই ক্যাপ্টেন যতক্ষণ চায় বল করতে পারি।’’

এই জন্যই বোধহয় ভারতে এসে বারবার নিজের বোলিংয়ের আতঙ্ক ছড়িয়ে গিয়েছেন। ২০১০-এ নাগপুর টেস্টে তাঁর ইনিংসে সাত উইকেট, ২০০৮-এ আমদাবাদে পাঁচ উইকেট, ফের ২০১১-এ নাগপুরে ওয়ান ডে ম্যাচে পাঁচ উইকেটের স্মরণীয় পারফরম্যান্স নিয়ে ১৪ ম্যাচে ৪৪ উইকেট তাঁর। এই সাফল্যের রহস্য কী? স্টেইনের জবাব, ‘‘সত্যি বলতে আমরা অনেক হোমওয়ার্ক করে আসি। কোন ব্যাটসম্যানের কোথায় দুর্বলতা, বিশেষ করে তার শেষ দশটা ইনিংসের বিশ্লেষণ করে তা বুঝে নিই। সবাইকে একই রকম বল করলে তো চলবে না। এটা রকেট সায়েন্স নয়। জাক কালিস সব সময়ই বলত, যে কোনও ব্যাটসম্যানকে টপ অব অফ স্টাম্প বাউন্সার দাও, সে খাবি খাবেই। কিন্তু উল্টো দিকে যদি সচিন তেন্ডুলকর থাকে, তা হলে তাকে এই বল দিলে ঘাবড়ে যাবে না, বরং সপাটে মারবে। মুরলী বিজয়কে দিলে সে কভার দিয়ে চার হাঁকাবে। এগুলোই ভাল করে বুঝে নিয়ে আসি।’’

এ বারও সেই হোমওয়ার্কটা করে এসেছেন স্টেইন। কোহলির দলের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানের ভাল-মন্দ বুঝে নিয়েই তাঁদের আক্রমণ করতে তৈরি বলে জানিয়ে দিলেন।

এখন শুধু মাঠে নামার অপেক্ষায় তিনি। উইকেট যেমনই হোক না কেন। ‘‘আমাকে বোলিংয়ের জাদু দেখাতে হবে হাওয়ায়। উইকেট কেমন, তা বুঝে আমার কী লাভ?’’ বললেন স্টেইন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dale Steyn nightmare India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE