শতরান করে ডেভিড মিলার। ছবি: এএফপি।
হার দিয়ে শুরু। আর হারেই শেষ। শুরুর হার টেস্টে ৩৩৩ রানে। শেষেরটা টি-টোয়েন্টিতে ৮৩ রানের। শেষ ম্যাচে এক ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা, সঙ্গে দ্রুততম শতকের রেকর্ড হজম। সঙ্গে ডেভিড মিলারের বিশ্বরেকর্ড হজম। বাংলাদেশের টাইগারদের বিভীষিকাময় দক্ষিণ আফ্রিকার সফরের ইতি হল ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে।
পুরো সিরিজটাই এই রকম অনেক কিছুতে রঙিন করে রেখেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকানরা। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টে এক ইনিংস এবং ২৫৪ রানে হারে মুশফিকের দল। ওয়ানডেতেও হার ছিল বিশাল ব্যবধানে। ১০ উইকেটে হার দিয়ে শুরু। পরের দুই ম্যাচে ১০৪ এবং ২০০ রানে পরাজয়। ব্যতিক্রম শুধু প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সে ম্যাচে ব্যবধান ছিল ২০ রানের।
শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড মিলার ও হাশিম আমলার ব্যাটে ভর করে ২২৪ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। মিলার ২৩ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছন। সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এর পর মাত্র ৩৫ বলে নিজের শতরান পূর্ণ করেন। টি-টোয়েন্টিতে এটিই তাঁর দ্রুততম শতরান। এর আগের দ্রুততম শতরানটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকারই রিচার্ড লেভির। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে। মাত্র ৪৫ বলে।
এ দিনের শুরুতেই মারকাটারি ব্যাট করেন আমলা। ৫১ বল খেলে ৮৫ করেন তিনি। আমলা ফিরে যাওয়ার পর টাইগারদের উপর হামলা শুরু করেন মিলার। ৩৬ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকার দিনে চূড়ান্ত হামলা চালান সইফউদ্দিনের চতুর্থ এবং ইনিংসের ১৯তম ওভারে। আগের তিন ওভারে ২২ রান দিয়ে এবি ডে’ভিলিয়ার্স, আমলাকে ফেরানো সইফ প্রথম পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হজম করে বসেন! লজ্জার রেকর্ডের মুখোমুখি হতে হতে বেঁচে যান তিনি। শেষ বলটি অফস্টাম্পের বেশ বাইরে করেন সইফ। মিলার এ বার মাত্র এক রান নিতে পারেন।
অথচ দিনের শুরুটা ছিল অন্য রকম। দলীয় সাত ওভারের ভিতর নিজের চার ওভারের কোটা শেষ করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতেই একটানা বল করে যান তিনি। এ দিনও বোলিং ওপেন করেন সাকিব। দু’টি উইকেটও তুলে নিয়ে নেন।
শুরুতেই নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাফল্য পান সাকিব। মাঙ্গালিসো মোসেলেকে বোল্ড করেন। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে জেপি দুমিনিকে (৪) ফেরান ওই সাকিবও। ফুল লেংন্থের ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়ে নিজের উইকেট হারান জেপি। দুই উইকেট নিতে চার ওভারে মাত্র ২২ রান খরচ করেন সাকিব।
নিজের চতুর্থ ওভারের আগে পর্যন্ত সইফ বেশ বৈচিত্র্যময় বোলিং করেন। ইয়র্কার-কাটারে ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করতে থাকেন। অন্য দিকে তাসকিন, রুবেলরা শুরু থেকেই বেশ রান দেন। তাসকিন তিন ওভারে ৪১ রান দেন। রুবেল চার ওভারে খরচ করেন ৫১ রান।
জবাবে সৌম্য সরকার-ইমরুল কায়েশ আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেও সফল হয়ে পারেননি। ইমরুল ছয় রানে রানআউট হওয়ার পর সৌম্য ৪৪ পর্যন্ত থাকেন। ২৭ বলে ওই রান তোলেন তিনি। বল হাতে সাফল্য পেলেও ব্যাট তেমন কিছু করতে পারেননি সাকিব। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন ৪৭। কিন্তু এ দিন তিন নম্বরে নেমে ৪ বলে ২ রান করে বোল্ড হন তিনি। মিডল অর্ডারে রিয়াদ, এবং শেষের দিকে মহম্মদ সইফউদ্দিন খানিকটা চেষ্টা করেন। ২০ বলে রিয়াদ করেন ২৪। সইফউদ্দিন ২৪ বলে ২২। কিন্তু, শেষমেশ বাংলাদেশের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy