ফেডারেশন কাপ শুরু হওয়ার ঠিক আগে এই টুর্নামেন্টে মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি-র ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম। কারণ, এএফসি কাপের সৌজন্যে অন্য টিমগুলোর তুলনায় ওদের অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে হচ্ছিল। সঙ্গে দীর্ঘ যাত্রার ভোগান্তি। যা সমস্ত উদ্যম শেষ করে দেয়। কিন্তু মজার ব্যাপার এটাই যে, ফেড কাপের একদম শেষ পর্যায়ে এসে সব টিমের যখন বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে তখন এই দুই টিমই কিন্তু খেতাবের লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ফাইনাল খেলার জন্য।
মোহনবাগান গোটা টুর্নামেন্টেই অনবদ্য খেলছে। প্রত্যেক ম্যাচ পরিকল্পনা করে নিজেদের পারফরম্যান্স গ্রাফ বাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ওরা। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ওরা প্রথমার্ধটা লাল-হলুদ আক্রমণের সামনে অপেক্ষা করেছিল সুযোগের জন্য। কিন্তু খেলার গতির বিরুদ্ধে হঠাৎ গোল করে ম্যাচটা পকেটে পুরে নিল। এই ধরনের টিম সত্যিই খুব ভয়ঙ্কর।
আসলে মোহনবাগানের ‘কোর’ টিমটাই ওদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আর আক্রমণভাগটাও সমান আগ্রাসী। সনি নর্দে, ইউসা কাতসুমি, ড্যারেল ডাফি, জেজে লালপেখলুয়া এবং বলবন্ত সিংহ। এদের প্রত্যেকেই ছন্দে রয়েছে। আর বিপক্ষে এই নামগুলোকে দেখলেই অনেক টিমের কাছে দুঃস্বপ্ন ভিড় করে। তাও জেজে ফেডারেশন কাপে প্রথম দলে নিয়মিত নয়। ভারতীয় ফুটবলে ক’টা টিম এই বিলাসিতা দেখাতে পারে? আক্রমণের সঙ্গে ওদের রক্ষণভাগও ভরসা দিচ্ছে। বিশেষ করে গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার। এই মুহূর্তে অনবদ্য ফর্মে রয়েছে ও। নিঃশব্দে গত তিন বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে যাচ্ছে ও।
মোহনবাগানকে প্রশংসা করার পাশে ইস্টবেঙ্গলকে দোষারোপ করতেই হচ্ছে। দ্বিতীয়ার্ধে ওদের মরিয়া মনোভাবটা না দেখতে পাওয়ার জন্য। ফুটবলে একটা ম্যাচের রাশ যখন নিজেদের হাতে তখনই গোল করে এগিয়ে যাওয়ার উৎকৃষ্ট সময়। কিন্তু তা না করতে পারলে ব্যর্থতা তাড়া করবেই। ভাল শুরু করেও এ ভাবে ছিটকে যেতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। এরই মাঝে ফেডারেশন কাপের দুই ফাইনালিস্ট মুখোমুখি হবে এএফসি কাপে। সাধারণ মানুষের কাছে একটা ফুটবল কার্নিভাল চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy