ষোলো কোটির শট। কিংস ইলেভেনের বিরুদ্ধে যুবরাজ। ছবি: পিটিআই।
একেই বলে ‘ক্লাস’। প্রায় একা হাতেই যুবরাজ সিংহ ম্যাচটা বার করে নিল কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের হাত থেকে। এ বারের আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারের কাছ থেকে এই ইনিংসটাই তো প্রত্যাশিত ছিল।
দিল্লির ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে যে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সটা এত দিন পাওয়া যাচ্ছিল না, সেটাই পাওয়া গেল বুধবার। ফলে দিল্লি প্রথম ম্যাচটা জিতল আর যুবরাজ দেখিয়ে দিয়ে গেল একটা রাস্তা। কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবকে হারানোর রাস্তা। যে রাস্তায় হেঁটে শনিবার ম্যাচ বার করতেই পারে নাইটরা।
শনিবার কেকেআর এই পুণের মাঠেই খেলবে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। তাই বুধবারের দিল্লি-পঞ্জাব ম্যাচটা বাড়তি তাৎপর্যের ছিল নাইটদের কাছে।
আগের দুই ম্যাচে দিল্লির যা পারফরম্যান্স দেখেছি, তাতে বীরেন্দ্র সহবাগ (৪১ বলে ৪৭) ও ঋদ্ধিমান সাহার (২৮ বলে ৩৯) ইনিংসের উপর ভর করে ওঠা ১৬৫-ও তুলতে পারবে কি না, সন্দেহ ছিল। দিল্লির দুই স্পিনার অমিত মিশ্র ও ইমরান তাহির যে ভাবে বেইলি, মিলার ও ম্যাক্সওয়েলদের আটকে দিল, তাতে পঞ্জাবের খুব একটা বেশি রানের পুঁজি হওয়ার কথা নয়। অমিতের শেষ ওভারে ১৯ রান না উঠলে এত দূর পৌঁছতেই পারত না কিঙ্গস।
কিন্তু চেনা যুবরাজ সিংহ ফেরত এলে যে কী হয়, সেটাই বোঝা গেল বুধবার রাতে। প্রথম ম্যাচের মতো যুবরাজকে ছ’নম্বরে নামানোর ভুল করেনি দিল্লি। যুবরাজ এ দিন নামল চারে। ওর ৩৯ বলে ৫৫ এবং ময়ঙ্ক অগ্রবাল (৪৮ বলে ৬৮)। এই দুটো ব্যাপারই এ দিন দিল্লিকে পাঁচ উইকেটে জয় এনে দিল। ময়ঙ্ক ছেলেটা তো অসাধারণ। দেশের এই ছেলেগুলোকে তুলে ধরার জন্যই আইপিএল-কে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করে। মিচেল জনসনকে যে ভাবে ফ্রন্টফুটে পুল করে ছয় মারল, তা দেখে গর্ব হচ্ছিল।
বুধবারের এই ম্যাচটা কাঁটাছেড়া করে কয়েকটা জিনিস উঠে আসছে। যেমন, পঞ্জাবের পেস বিভাগ বেশি শক্তিশালী হলেও চাপের মুখে ভেঙে পড়ছে। পুণের উইকেটে বাউন্স ও ক্যারি তেমন নেই। প্রথম দিকে বল একটু সুইং করলেও পরে সমস্যা হয়নি। যুবরাজরা এই সুযোগটাই নিল। যুবি যে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করল, তার সামনে তেমন বিষাক্ত হতে পারল না অনুরিত, সন্দীপরা। তবে রাতের ম্যাচে কিঙ্গসের এই দুই দেশীয় পেসার নতুন বলে যে রকম বল নড়াচ্ছে, তাতে শুরুতে একটু সাবধানে খেলতে হবে নাইটদের। তার পরে পাল্টা আক্রমণ। ঠিক যে কাজটা করল ময়ঙ্ক-যুবরাজরা। পঞ্জাবের দুটো সমস্যা থাকছে। এক, মাঝের দিকে অক্ষর পটেল ছাড়া কোনও স্পিনার না থাকা। দুই, মিচেল জনসনের অফ ফর্ম। ফলে মাঝের ওভারে ওদের বোলাররা রান আটকাতে পারছে না।
পঞ্জাবের প্রধান অস্ত্র ব্যাটিং। ওদের মিলার, ম্যাক্সওয়েল, বেইলি পেসটা সহজে খেলে। আটকাতে গেলে স্পিন দিয়ে আটকাতে হবে। এ দিন দিল্লির দুই স্পিনার অমিত মিশ্র এবং ইমরান তাহির রান দিলেও দু’জনে মিলে চারটে উইকেট তুলে নিয়েছে। ফলে রানটা বিশাল তুলতে পারেনি সহবাগরা। কেকেআরের স্পিন ডিপার্টমেন্ট অবশ্য কমজোরি হয়ে গিয়েছে। অ্যাকশন শুধরে মাঠে ফেরা সুনীল নারিনের ‘আর্ম স্পিড’ কমে যাওয়ায় ব্যাটসম্যানদের কাছে ও আগের চেয়ে বেশি ‘প্রেডিক্টেবল’ হয়ে গিয়েছে। তার উপর সাকিব আল হাসান চলে গিয়েছে। হাতে এখন অভিজ্ঞ বলতে পীযূষ চাওলা। আমার মনে হয়, শনিবার একই টিম নামাক কেকেআর। শুধু সাকিবের জায়গায় রায়ান টেন দুশখাতেকে খেলানো হোক।
ছিটকে গেলেন শামি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
হাঁটুর চোট। তাই দিল্লির হয়ে আইপিএল আটে প্রথম তিন ম্যাচ খেলা সম্ভব হয়নি মহম্মদ শামির। সে নিয়ে জল্পনাও কম চলছিল না। এ বার তিনি আইপিএল থেকে ছিটকেই গেলেন। শোনা যাচ্ছে তাঁকে দু’মাসের জন্য রিহ্যাবে যেতে হবে। হাঁটুতে অস্ত্রোপচারও হতে পারে। যদিও বুধবার রাতে দিল্লি শিবিরে ফোন করা হলে তাদের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy