সফল: ব্রোঞ্জ জেতার পরে দীপিকা কুমারী। রবিবার। টুইটার
ভারতীয় দলের সঙ্গে কোচ কোচ না থাকায় এমনিতেই চ্যালেঞ্জটা কঠিন ছিল। তা বলে এতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বোধহয় আন্দাজ করতে পারেননি দীপিকা কুমারী নিজেও।
তুরস্কে আয়োজিত বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের তারকা তিরন্দাজ দীপিকা সেই সব বাধা পেরিয়েই দুরন্ত ভাবে ব্রোঞ্জ জিতলেন। মরসুমের সেরা আট রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড তিরন্দাজ বিশ্বকাপ ফাইনালে যোগ দেন। ঠিক কতটা লড়াই করতে হয়েছে দীপিকাকে সেটা স্পষ্ট তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জার্মানির লিসা উনরুহ-র সঙ্গে লড়াইয়ের স্কোর দেখলেই। প্রথম পাঁচ সেটের পরে দীপিকা এবং লিসা দু’জনেরই স্কোর ছিল ৫-৫। ফলে লড়াই গড়ায় শুট-অফে। সেখানে দুই তিরন্দাজ ৯ স্কোর করেন। তার পরেও দীপিকা জেতেন। কারণ লিসার চেয়ে তাঁর ছোড়া তির লক্ষ্যের বেশি কাছে ছিল। এই নিয়ে পাঁচ বার তিরন্দাজি বিশ্বকাপের ফাইনালে পদক পেলেন দীপিকা। এর আগে তিনি চার বার রুপো পেয়েছেন।
‘‘এ রকম বড় প্রতিযোগিতায় প্রথম বার কোচ ছাড়া নেমেছিলাম। তার পরেও যে ভাবে ব্রোঞ্জ জিতেছি তাতে খুব খুশি। প্রতিযোগিতা যত কঠিন হবে তত সুফল পাব পারফরম্যান্সে,’’ বলেছেন দীপিকা। তবে ভারতীয় তারকা স্বীকার করে নিয়েছেন শুট-অফের সময়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। তার উপরে দলের সঙ্গে কোচ না থাকায় সমস্যা আরও বাড়ে। ‘‘শুট-অফে আমি বেশির ভাগ সময়েই হেরে যাই। তাই ওই সময় চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। নিজেকে তখন বলি, যাই হোক না কেন, আমায় ফলটা মেনে নিতে হবে। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’’
জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ভারতীয় তিরন্দাজ দল কোনও পদক জিততে পারেনি। ব্যর্থ হন দীপিকাও। এ ব্যাপারে দীপিকা বলেন, ‘‘এশিয়ান গেমসের আগে আমার ডেঙ্গি হওয়ায় শরীরে কোনও জোর ছিল না। অনুশীলনে নিশানা ঠিক করতে পারছিলাম না। এত দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম। এশিয়াডের পরে তাই এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার আগে ১৫ দিনের বিশ্রাম নিই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy