অতনু দাস ও দীপিকা কুমারী ফাইল চিত্র
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহর আরও একবার গর্বিত হতে পারে। রাঁচীকে গর্বিত করতে পারেন বিশ্বের এক নম্বর মহিলা তিরন্দাজ দীপিকা কুমারী। তবে শুধু রাঁচী কেন, টোকিয়ো অলিম্পিক্সের আগে তিরন্দাজ দম্পতি দীপিকা কুমারী ও অতনু দাসকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে ভারতবাসী। দেখবে নাই বা কেন? রবিবার সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক করে রাঁচীর মেয়ে দীপিকা এখন বিশ্বের এক নম্বর মহিলা তিরন্দাজ। তাঁদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন দীপিকার মা-বাবাও।
পেশায় অটোচালক বাবা আর সেবিকার কাজ করা মাকে নিয়ে কষ্টের মধ্যেই বেড়ে ওঠা দীপিকার। এখন অবস্থা অনেকটাই ভাল। তবুও নিজের কাজে অবিচল দীপিকার বাবা শিবনারায়ণ মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে আমায় গর্বিত করেছে। ও এখন বিশ্বের এক নম্বর। আমার জামাইয়ের সঙ্গে ও সোনা জিতেছে। এতে আরও ভাল লাগছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ওদের প্রশংসা করেছেন, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সের জন্য। তবে আমি অতীতকে ভুলে যেতে চাই না। মাঝে মাঝে যখন আমি ভাবি আমাদের কষ্টের দিনগুলোর কথা, তখন বুঝতে পারি কতটা কঠিন পথ পেরিয়ে এসেছি আমরা। মেয়েরা বার বার বারণ করে, তবু আমি এখনও অটো চালাই। কারণ ওটাই আমার কাজ। মেয়ের সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই অর্জুন মুন্ডাকেও (তিরন্দাজ সংস্থার সভাপতি ও ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী)। তিনি সবসময় আমাদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।’’
মেয়ের পাশাপাশি জামাইয়ের সাফল্যও কামনা করছেন দীপিকার মা গীতা মাহাতো। তিনি নিশ্চিত মেয়ে-জামাইয়ের পদক জয়ের ব্যাপারে। গীতা বলেন, ‘‘এতদিন দীপিকার জন্য প্রার্থনা করতাম। এখন আমরা অতনুর জন্যও প্রার্থনা করব। আশা করি টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ওরা সফল হবে। আমি আশাবাদী ওরা পদক জিতেই ফিরবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy