১৯৮৮তে প্রথম দেখেছিলাম সামনে থেকে। মনে হচ্ছিল স্বয়ং ভগবানকে দেখছি। তিনি আসার আগে পর্যন্ত আনতোলি কারপভের ভক্ত ছিলাম। কিন্তু কাসপারভকে দেখার পরই সবটা বদলে গেল। মনে হল দাবায় সাক্ষাৎ ভগবান চলে এসেছেন। বিভিন্ন নতুন নতুন চালের সৃষ্টি কর্তা, দাবার বোর্ডে ওই অ্যাগ্রেসিভ মনোভাব এর আগে দেখিনি। ১২ বছর পর আবার প্রতিযোগিতামূলক দাবায় ফিরছেন শুনে কিন্তু খুব ভাল লাগছে। এই প্রজন্মের জন্য দারুণ খবর। কাসপারভকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ পাওয়াটাই যথেষ্ট। তাঁর সঙ্গে খেলতে পারলে তো কথাই নেই। ১২ বছর তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফিরছেন এটাই যথেষ্ট। কী ফল হল তাতে কিছু এসে যায় না।
আরও খবর: অবসর ভেঙে ফিরছেন গ্যারি কাসপারভ
আমার বিশ্বাস দাবার প্রতি খিদেটাই তাঁকে আবার ফিরিয়ে আনছে প্রতিযোগিতার আসরে। এতদিন নিশ্চই অনুশীলনের মধ্যে ছিলেন। তবুও দীর্ঘদিন প্রতিযোগিতার বাইরে থেকে ফিরে এসে সময়ের সঙ্গে মানাতে সময় লাগবে। কতটা মাথা কাজ করবে সেটাও বড় ব্যাপার। তাতে যদিও কিছু এসে যায় না। কারণ মানুষটা কাসপারভ। আমার মনে হয় না তিনিও কোনও ফলের আশা নিয়ে প্রতিযোগিতার আসরে নামছেন। সেই পুরো ধার ফিরে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু মনে রাখতে হবে এই মানুষটাই বিশ্ব দাবার শেষ কথা এখনও। আমার তাঁর সঙ্গে একবারই খেলার সুযোগ হয়েছিল। সালটা ২০০০। তবে সেটা অন-লাইনে। তখন দেখেছিলাম খেলার প্রতি কতটা আক্রমণাত্মক তিনি। এমনিতে দাবা প্লেয়ারদের মনে করা হয় খুব শান্ত, নমনীয়। কিন্তু তিনি ছিলেন ঠিক উল্টো। এক বার খেলতে গিয়েই টের পেয়েছিলাম। এ ছাড়া সামনে থেকে অনেকবার দেখেছি। দাবা অলিম্পিয়াডে খেলতে দেখেছি। ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৪এ দেখেছি।
বিশ্বনাথন আনন্দের সঙ্গে খেলার একটি মুহূর্তে কাসপারভ। —ফাইল চিত্র।
আবার কাসপারভ খেলছেন, আমি তো লাইভ দেখার চেষ্টা করবই যদি কলকাতায় থাকি। না হলে পরে রেকর্ডিং দেখব। অবশ্য আমাদের চেসের যে অ্যাপটা আছে সেখানেও দেখতে পারি যদি সম্ভব হয়। তবে বিশ্বদাবার জন্য এটা একটা বিরাট খবর। আমাদের জন্য তো বটেই। মুখিয়ে রয়েছি দেখার জন্য। খবরটা পাওয়ার পর থেকেই সেই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছি।
অনুলিখন: সুচরিতা সেন চৌধুরী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy