এখনও কথা বলতে গেলে লজ্জায় মুখ লাল হয়ে যায়। এখনও যাঁকে দেখলে মনে হয় পাশের বাড়ির সেই মেয়েটি। হঠাৎ করেই যেন তাঁর সেলিব্রিটি হয়ে যাওয়া। কিন্তু সেই সোনার মেয়ের হাবে-ভাবে যে কোনও পরিবর্তন নেই।
ইতিহাস গড়ে ঘরে ফিরলেন সোনার মেয়ে দীপা কর্মকার। বৃহস্পতিবারই দিল্লি হয়ে ত্রিপুরা ফিরেছেন তিনি। দীপাই প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট যিনি পৌঁছলেন অলিম্পিক্সে। এ দিন দিল্লি বিমান বন্দরেই তাঁকে ঘিরে ছিল মানুষের উচ্ছ্বাস। এর পর তিনি ফিরলেন নিজের রাজ্য ত্রিপুরায়। আগরতলায় নামার পরেও তাঁকে ঘিরে ছিল স্থানীয় মানুষদের উচ্ছ্বাস। তবুও যেন কিছুই বদলায়নি দীপার জীবনে। একটা সাফল্য, পাকাপাকি ভাবে ইতিহাসে ঢুকে যাওয়ার পরেও মাটিতেই পা রেখে চলেছেন দীপা। শুধু মনে মনে একটাই সংকল্প, এই ইতিহাসটাকে আরও ভাল করার। বলেন, ‘‘আমি সব রকম প্রচেষ্টা করব এই জয়ের ধারা ধরে রাখতে। আমার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করা। সেটা পেরেছি। তাতে আমি খুশি।’’
রিওতে অলিম্পিক্সের টেস্ট ইভেন্টে সোনা জিতে বাজিমাত করেছেন দীপা। মোট স্কোর ৫২.৬৯৮। এই রিওতেই আবার দীপাকে ফিরতে হবে অগস্ট মাসে। শুধু প্রথম ভারতীয় মহিলাই নন, দীপা ৫২ বছর পর প্রথম ভারতীয় যিনি অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করলেন। এর আগে মোট ১১ জন জিমন্যাস্ট অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ১৯৫২তে দু’জন, ১৯৫৬তে তিনজন ও ১৯৬৪তে ছ’জন। দীপা বলছিলেন, ‘‘সহজ ছিল না আমার জন্য। কিন্তু আমার কোচের জন্যই এই অসাধ্য সাধন করতে পেরেছি। তাঁকে ছাড়া আমার নাম কেউ জানতে পারত না।’’
মেনে নিলেন কিছু পেতে হলে ঝুঁকি নিতেই হয়। যেটা তিনি নিয়েছেন। বলেন, ‘‘সাফল্য পেতে গেলে ঝুঁকি নিতে হয়। আমি কৃতজ্ঞ আমার অনুশীলনের জন্য ইন্দিরা গাঁধী স্টেডিয়ামে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তখনই আমি শিখি প্রদুনোভা ভল্ট। এটা ছাড়া সম্ভব ছিল না। আমি সাইকে ধন্যবাদ জানাই।’’
আরও খবর
জেদের কারণেই রিও-র টিকিট পেল দীপা, বলছেন বাবা-মা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy