মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই সবুজ-মেরুন শিবিরের ছবিটা আশ্চর্যজনক ভাবে বদলে গিয়েছে। রীতিমতো থমথমে আবহ। ডুরান্ড কাপে এটিকে রিজার্ভ দল খেলালেও, মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার উদ্বেগ কমছে না।
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে ০-৩ হারের পরেই ময়নাতদন্তে বসেছিলেন ভিকুনা। ডুরান্ড কাপে মহমেডানকে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করা দল দ্বিতীয় ম্যাচেই কেন মুখ থুবড়ে পড়ল? রক্ষণের ব্যর্থতাতেই যে বিপর্যয়, তা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি সবুজ-মেরুন কোচের। বুধবার সকালে মোহনবাগান মাঠে বৃষ্টির মধ্যে অনুশীলনে সব চেয়ে বেশি জোর দিলেন রক্ষণ মেরামতিতেই। বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করে ডিফেন্ডারদের পরীক্ষা করলেন। কেউ ভুল করলেই উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলেন স্প্যানিশ কোচ। তার পরেই অবশ্য ফ্রান মোরান্তো, আশুতোষ মেটা, ধনচন্দ্র সিংহ, লালরাম চুলোভাদের ডেকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন কার কোথায় ভুল হচ্ছে। কী ভাবে খেলতে হবে। রক্ষণ সামলেই যে গোলের জন্য ঝাঁপানোর পরিকল্পনা, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অনুশীলনে। যদিও ভিকুনা দাবি করলেন, পিয়ারলেস ম্যাচ তাঁর কাছে অতীত। বললেন, ‘‘পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে হারের পরে সবাই খুব হতাশ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে এটিকে ম্যাচ ছাড়া কিছু নিয়ে ভাবছি না। ভারতীয় নৌসেনাদের বিরুদ্ধে ওদের খেলা দেখেছিলাম। জিততে না পারলে ভাল দল। ভারসাম্যও দুর্দান্ত।’’
সবুজ-মেরুন শিবিরের দ্বিতীয় সমস্যা দলের প্রধান স্ট্রাইকার সালভা চামোরোর চোট। পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে কোমরের উপরের অংশে আঘাত পেয়েছিলেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। এ দিন মাঠে নামলেও পুরোদমে অনুশীলন করতে পারেননি। এটিকের বিরুদ্ধে তাঁকে পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে কোচ। হতাশ ভিকুনা বললেন, ‘‘আঠারো জনের দলে চামোরোকে রাখব। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত ও খেলতে পারবে কি না।’’