বিদায়
উইম্বলডনে ব্রাউন-রূপকথা শেষ। এক রূপকথার প্রত্যাবর্তনকারীর হাতে!
উইম্বলডনের রাজা ১৭বারের আবির্ভাবে ১৩বার প্রি-কোয়ার্টারে পা রাখলেন। তবে এ বারের অভিযানে এ দিনই প্রথম একটা সেট খোয়ালেন।
জুটির মিলিত বয়স মাত্র পঁচাশি! লিয়েন্ডার ৪২। নেস্টর ৪৩। কিন্তু এখনও গ্র্যান্ড স্ল্যামে বাছাই (একাদশ)। এবং হাঁটুর বয়সি প্রতিপক্ষ জুটি গাবাসভিলি-লুকের বিরুদ্ধে দিব্যি চার ঘণ্টা লড়ে ডাবলস প্রি-কোয়ার্টারে ওঠেন। ৫-৭, ৭-৬ (৭-৩), ৭-৬ (৭-৪), ৭-৫ জিতে।
লন্ডনে চলা গরমের মতো শনিবারের উইম্বলডনও গরম। মেয়েদের সিঙ্গলসে গত বারের ফাইনালিস্ট ইউজিনি বুশার্ডের বিদায়ের চার দিনের মধ্যে ছিটকে গেলেন চ্যাম্পিয়ন পেত্রা কিভিতোভাও। সার্বিয়ার প্রাক্তন এক নম্বর ইয়েলেনা ইয়াঙ্কোভিচের কাছে প্রথম সেট জিতেও কিভিতোভার তিন নম্বর উইম্বলডন জেতার স্বপ্ন শেষ ৬-৩, ৫-৭, ৪-৬ হারে।
এ দিকে, নাদাল-নাশকারী ডাস্টিন ব্রাউন পরের ম্যাচেই হেরে গেলেন। তার চেয়েও বোধহয় বড় কথা, যাঁর কাছে জার্মান হারলেন সেটা! ব্রাউনকে ৬-৪, ৭-৬ (৭-৩), ৪-৬, ৬-৩ হারানো ভিক্টর ট্রইকি দু’বছর আগের এমনই এক জুলাইয়ে ডোপ কেলেঙ্কারিতে প্রথমে আঠারো মাস, পরে আবেদনের জেরে বারো মাস পেশাদার ট্যুরে নির্বাসিত ছিলেন। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ২০১০ ফাইনালের নির্ণায়ক রাবার জিতে সার্বিয়াকে ডেভিস কাপ চ্যাম্পিয়ন করার নায়ক, পরের বছর কেরিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিং ১২-এ ওঠা বেলগ্রেডের ছয় ফুট চার ইঞ্চিও তখন দিশাহারা! ‘‘জানি না কী করব, কোথায় যাব, কী ভাবে পাল্টা লড়াই দেব!’’ বলা সেই ট্রইকি ২০১৫-র শুরুতেই পাঁচ বছর পর প্রথম কোনও এটিপি খেতাব জেতেন সিডনি ওপেনে।
এ দিন ফেডেরার আবার ছয় ফুট চার ইঞ্চি, নিরানব্বই কেজির অস্ট্রেলীয় দানব স্যাম গ্রোথকে পোষ মানালেও তৃতীয় সেটে আচম্বিত ছন্দ হারিয়ে টাইব্রেকারে হেরে বসেন। তবে পরের সেটেই ঝড় বইয়ে ম্যাচ বার করে নেন। ফল ৬-৪, ৬-৪, ৬-৭ (৫-৭), ৬-২।
জিতলেন অ্যান্ডি মারেও। ব্রিটিশ এক নম্বর তৃতীয় রাউন্ডে ৬-২, ৬-২, ১-৬, ৬-১ হারান ইতালির আন্দ্রে সেপ্পিকে। ফেডেরারের মতো তৃতীয় সেটে মারে কিছুটা ছন্দ হারিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। তবে তার খুব বেশি সুবিধা নিতে পারেননি সেপ্পি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy