(বাঁ দিকে) দলের জার্সি গায়ে দিয়ে উচ্ছ্বাস ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। (ডান দিকে) মোহনবাগান অধিনায়ক কাতসুমিকে ছুঁয়ে আপ্লুত এক সমর্থক। শুক্রবার শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
লাল-হলুদ পতাকা আর বাইক নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত দেবতোষ সান্যাল, বিকি শর্মারা। বারবার ফোনে জেনে নিচ্ছেন কলকাতা থেকে ওয়েডসন, উইলিস প্লাজারা রওনা হয়েছেও কি না। তা নিশ্চিত হতেই অপেক্ষার পালা শুরু।
তার কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য বিমানবন্দর থেকে ড্যারেল ডাফি, সনি নর্ডি, কাতসুমিদের নিয়ে হোটেলের দিকে রওনা হয়েছেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের প্রতিনিধিরা। সনি নর্ডিদের জন্য সঞ্জয় গুপ্তা, কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো সবুজ মেরুন ফ্যানেরা হাতে ঢাউস পতাকা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।
সাড়ে তিনটে নাগাদ দল হোটেলে পৌঁছতেই উল্লাস শুরু। স্লোগান চলতে থাকে ‘কলকাতা টু শিলিগুড়ি মোহনবাগান ছড়াছড়ি’। কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে, ফুল ছড়িয়ে, খাদা পরিয়ে বরণ করে নেওয়ার হয় সনি নর্ডি, কাতসুমিদের। কলকাতা থেকে মোহন সমর্থকদের অনেকে এ দিন শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছেন। হোটেলে স্বাগত জানাতে ছিলেন তাঁরাও। রবি ছেত্রী, সঞ্জয় গুপ্তাদের মতো স্থানীয় মোহনবাগান সমর্থকেরাও ছিলেন দল বেঁধে। এ দিন হিলকার্ট রোড থেকে সেবক রোড়ে চল্লিশ ফুট পতাকা নিয়ে মিছিল করে মোহন সমর্থকেরা।
সনি নর্ডিদের জন্য যেমন হোটেলে অভ্যর্থনার আয়োজন ছিল তেমনই ওয়েডসন, উইলিস প্লাজাদের জন্য পতাকা নিয়ে বিমানবন্দরেই প্রিয় দলকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিল লাল-হলুদের বাইক বাহিনী। পতাকা উড়িয়ে টিম বাসের আগে আগে বাইক র্যালি করে বিকেল পাঁচটা নাগাদ যখন তারা দলকে হোটেলে পৌঁছে দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের দলকে স্বাগত জানাচ্ছিলেন বাগডোগরা, শিবমন্দিরের অনেক স্থানীয় ভক্তও।
টিকিটে মোহনবাগানের ভুল নামের জেরে এ দিন সকালেও টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল। বিকেলে চারটে থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলে হাঁফ ছাড়েন ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারাও। কেননা টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় গোলমালের আশঙ্কা করছিলেন অনেকে। শনিবার দু’দলই কাঞ্চনজঙ্ঘায় অনুশীলন করবে। তা নিয়েও সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy