Advertisement
E-Paper

আটে আট-এর উৎসবে ভাসল ইস্টবেঙ্গল তাঁবু

ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ থাকলে যে লাল-হলুদ সমর্থককে মশাল নিয়ে গ্যালারি পরিক্রমা করতে দেখা যায় তিনি আবার সেই মশাল ধরিয়ে দিয়েছিলেন উইলিস প্লাজার হাতে। সঙ্গে রসগোল্লা বিতরণ এবং লাল-হলুদ আবির সহযোগে জয়োল্লাস, স্লোগান তো ছিলই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১৩
উচ্ছ্বাস: রেকর্ড সংখ্যক লিগ জয়ের আনন্দে মশাল হাতে আনন্দ করছেন উইলিস প্লাজা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

উচ্ছ্বাস: রেকর্ড সংখ্যক লিগ জয়ের আনন্দে মশাল হাতে আনন্দ করছেন উইলিস প্লাজা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

সাত সকালেই জোড়া ইলিশের গায়ে সিঁদুর আর হলুদ রং মাখিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে হাজির এক সমর্থক।

একদল লাল-হলুদ সমর্থক আবার ষষ্ঠীর সকালে আট বার লিগ জয়ের স্মারক হিসেবে তৈরি করে এনেছিলেন পেল্লাই ‘৮’ সংখ্যাটি।

ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ থাকলে যে লাল-হলুদ সমর্থককে মশাল নিয়ে গ্যালারি পরিক্রমা করতে দেখা যায় তিনি আবার সেই মশাল ধরিয়ে দিয়েছিলেন উইলিস প্লাজার হাতে।

সঙ্গে রসগোল্লা বিতরণ এবং লাল-হলুদ আবির সহযোগে জয়োল্লাস, স্লোগান তো ছিলই।

বোধনের সকালে এইসব আনন্দ-উৎসবের টুকরো টুকরো কোলাজেই যাপন হল ইস্টবেঙ্গলের রেকর্ড টানা আট বার লিগ জয়। সমর্থকদের যে আবেগের বিস্ফোরণ দেখলে চমকে যেতেই পারেন আইএসএল কর্তারা।

সব দেখে ইস্টবেঙ্গলের এ বারের লিগ জয়ের অন্যতম নায়ক উইলিস প্লাজা বলছিলেন, ‘‘সমর্থকদের এই আন্তরিকতা দেখে ভাল খেলার তাগিদ আরও বেড়ে গেল। এ বার আমাদের ঝাঁপাতে হবে আই লিগের জন্য।’’

লাল-হলুদ জার্সি গায়ে লিগের শেষ ম্যাচে শিলিগুড়িতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করে এবং করিয়ে নায়ক হয়েছিলেন আইজলের ছেলে লালডানমাউইয়া রালতে। সমর্থকদের ভিড়ের মধ্যে লাজুক মুখে ক্লাব লনের এক কোনায় দাঁড়িয়ে এই উৎসব দেখছিলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার এবং সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় লিগ জয়ের উৎসবে পতাকা তুলতে আসতে পারেননি। তাই সহ-সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত-ই অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডল ও বাকি খেলোয়াড়দের নিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন এ দিন। সকালেই ক্লাবে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন ফুটবলাররা। আট বারের এই কলকাতা লিগ জয়ের মধ্যে চার বার-ই দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন রঞ্জন চৌধুরী। বিপক্ষ সম্পর্কে যাঁর দেওয়া তথ্য ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিলকে সফলতা পেতে সাহায্য করেছে। সেই রঞ্জন এবং ফিজিক্যাল ট্রেনার গার্সিয়াও হাজির ছিলেন ক্লাবে।

তবে আনন্দের দিনেও ডার্বি ম্যাচে কেন পেনাল্টি হয়েছিল বা কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে তা নিয়ে উৎসবের আগেই ফুটবলারদের নিয়ে বিশ্লেষণ করতে বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। পরে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা লিগ এখন অতীত। পুজো কেটে গেলেই শুরু হবে আই লিগের প্রস্তুতি।’’ ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা লিগের পর নওগাঁ-র টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। তার বদলে আইএসএল-এর আগে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছে চেন্নাইয়িন এফসি এবং জামশেদপুর এফসি। সেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে আই লিগের জন্য তৈরি হতে চান খালিদ।

সিকিমে নেই কামো, কিংগসলে: মোহনবাগানে আইভরি কোস্টের ফুটবলার কামো স্টিফেন বায়ির পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন ক্লাব কর্তারা। তাঁদের দাবি, কলকাতা লিগে শেষ তিন ম্যাচে কামোর পারফরম্যান্স প্রত্যাশার ধারে কাছে ছিল না। কেন এমন হল সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারটির কাছে জানতে চাইবেন তাঁরা। যা নিয়ে কামোর প্রতিক্রিয়া, ‘‘মোহনবাগান জার্সি গায়ে মাঠে নেমে নিজের একশো শতাংশ দিয়েছি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, মেসি-রাও গোল মিস করে। ডার্বিতে গোল মিস করার জন্য তাঁরা যদি আমাকে রাখতে না চান, তা হলে কিছু বলার নেই।’’

এ দিন দুপুরে ক্লাব তাঁবুতে কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী ও সহকারী কোচ অর্পণ দে-র সঙ্গে বসেছিলেন মোহনবাগান কর্তারা। সেখানেই ঠিক হয় পুজোর পরেই সিকিমে গভর্নর্স গোল্ড কাপ খেলতে যাচ্ছে মোহনবাগান। যে দলে রাখা হয়নি কামোকে। ভিসা সমস্যার জন্য দলে নেই স্টপার কিংগসলে-ও। বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে আজহারউদ্দিন এবং শিল্টন ডি’সিলভা-কে। ২ অক্টোবর থেকে অনুশীলন শুরু করবে মোহনবাগান।

Football East Bengal ইস্টবেঙ্গল CFL title CFL 2017
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy