Advertisement
E-Paper

হোটেলে থেকেও ডিনারে গেলেন না খালিদ

লিগ প্রায় হাতছাড়া হলেও খালিদের চাকরি যাওয়ার সম্ভবনা  নেই। ক্লাব কর্তাদের বক্তব্য ও মনোভাব, ‘‘আরও তিনটে ম্যাচ বাকি। মিনার্ভা পঞ্জাব বা নেরোকা তো সব ম্যাচ জিতবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩২
খালিদের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ফাইল চিত্র

খালিদের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ফাইল চিত্র

আই লিগের খেতাব নিয়ে নানা অঙ্ক চললেও ইস্টবেঙ্গল শিবির ধরেই নিয়েছে, আর লড়াইতে ফেরা সম্ভব নয়। সেই দুঃখ থেকেই সম্ভবত ম্যাচের পর টিম হোটেলে ফিরে নিজের ঘরেই ‘বন্দি’ থাকলেন খালিদ জামিল। এদুয়ার্দো ফেরিরা, ইউসা কাতসুমিদের রাতে খাবার টেবিলে দেখা গেলেও লাল-হলুদ কোচ সেখানে ছিলেন না।

লিগ প্রায় হাতছাড়া হলেও খালিদের চাকরি যাওয়ার সম্ভবনা নেই। ক্লাব কর্তাদের বক্তব্য ও মনোভাব, ‘‘আরও তিনটে ম্যাচ বাকি। মিনার্ভা পঞ্জাব বা নেরোকা তো সব ম্যাচ জিতবে না। দেখাই যাক না কী হয়।’’ যা খবর তাতে হতাশ হলেও খালিদ নিজেও কোচের পদ থেকে সরছেন না।

লিগ টেবলের পরিস্থিতি যা তাতে মিনার্ভা পঞ্জাব বাকি চার ম্যাচের দুটি জিতলে এবং একটি ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। তাদের পরের ম্যাচ গোকুলমের সঙ্গে মঙ্গলবার। নিজেদের মাঠে। সেটা জিতলে চেঞ্চো গিলসনদের সঙ্গে ছয় পয়েন্টের ব্যবধান হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গলের। খালিদ শনিবার ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মলনে এসে বলেও দিয়েছেন, ‘‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ তিনটে পয়েন্ট নষ্ট করে অনেক পিছিয়ে পড়লাম। আরও কঠিন হয়ে গেল লড়াই।’’

কিন্তু মিনার্ভা ম্যাচের ‘আগুন’ কেন দেখা গেল না শনিবার ইস্টবেঙ্গলের খেলায়? কেন অসুস্থ এদুয়ার্দো পেরিরা বেরিয়ে যাওয়ার পর লাল-হলুদ রক্ষণ হামাগুড়ি দিল? এ সব প্রশ্নের জবাব খালিদ দেননি। দেওয়ার অবস্থাতেও ছিলেন না তিনি। ফোনও ধরেননি। তবে দলের ম্যানেজার, যাঁর উপর রক্ষণ সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন কর্তারা, সেই মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য কোজিকোড় থেকে ফোনে বলে দিলেন, ‘‘ মাঝমাঠ খেলতেই পারেনি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। একজন ফুটবলার অসুস্থ হয়ে বেরিয়ে যেতেই পারে। কিন্তু তা বলে পুরো টিম খেলতে পারবে না কেন?’’ গোকুলম কোচ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আল আমনা এবং ইউসা কাতসুমিকে খেলতে দেবেন না। এ দিন সেটাই হয়েছে। ‘‘প্রচন্ড গরম ছিল। আমনা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। কাতসুমিও পারেনি। প্রথমার্ধটা ভাল খেলার পর টিমটার এ রকম হাল হল কেন বুঝতে পারছি না,’’ বলে দিলেন মনোরঞ্জন। এই অবস্থায় ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন মানছেন সবাই।। লাল-হলুদের সহকারি কোচ রঞ্জন চৌধুরী বললেন, ‘‘খেতাব জেতার আশা কমে গেল। শুনলাম গোকুলমেরও পনেরো ঘণ্টা লাগবে রবিবার চণ্ডীগড় পৌছতে। এরপর মঙ্গলবার কী খেলবে? সূচির সুবিধাটা মিনার্ভা পাচ্ছে।’’

Khalid Jamil Football খালিদ জামিল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy