Advertisement
E-Paper

হতাশ করলেন পেইন, হার বাঁচাল ইস্টবেঙ্গল

ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের টিমের হার বাঁচালেন উইলিস প্লাজা। তিন দিন আগে ডার্বিতে সহজ সুযোগ নষ্ট করে যিনি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।

সৌমিত্র কুন্ডু

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৯
প্লাজার গোলে স্বস্তি ফিরল লাল-হলুদ শিবিরে। শিলিগুড়িতে বুধবার।-সন্দীপ পাল

প্লাজার গোলে স্বস্তি ফিরল লাল-হলুদ শিবিরে। শিলিগুড়িতে বুধবার।-সন্দীপ পাল

লাজং-১ : ইস্টবেঙ্গল-১

(স্যামুয়েল) (প্লাজা)

ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের টিমের হার বাঁচালেন উইলিস প্লাজা। তিন দিন আগে ডার্বিতে সহজ সুযোগ নষ্ট করে যিনি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।

বুধবার শুরুতেই পাহাড়ি ঝড়ে বিধ্বস্ত ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে পড়ে। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি শিলং লাজংয়ের স্যামুয়েল লালমুইয়ানপুইয়ার হেড করা বল লাল-হলুদের জালে ঢুকতেই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের গ্যালারি স্তব্ধ হয়ে যায়। পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানো দূরে থাক, মেহতাব হোসেন- ওয়েডসন আনসেলমেরা খেই হারিয়ে ফেলছিলেন বারবার। নতুন নামা বিদেশি ক্রিস্টোফার পেইনের হাল তো ছিল আরও খারাপ। কী করবেন, কোথায় খেলবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। টিমের সঙ্গে অনুশীলন না করে খেলতে নামলে যা হয় আর কী! ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও পেইনকে এত তাড়াতাড়ি মাঠে নামানো নিয়ে মর্গ্যানের এই সিদ্ধান্তে অবাক। বিরক্তও। সেটা খেলার পর প্রকাশও করে ফেললেন অনেকেই। চাপের মুখেও আক্রমণে ওঠার মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন শুধু প্লাজা। তার ফসল তিনি পেলেন বিরতির পর ইনজুরি সময়ে। তাঁর গোলেই সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। না হলে তো মর্গ্যানেক টিমকে হেরেই ফিরতে হত।

লাল-হলুদের কোচ অবশ্য নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল করেননি। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলে দেন, ‘‘দলের পারফরম্যান্সে আমি হতাশ। আমার স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী খেলতেই পারেনি ছেলেরা। লিগে প্রথমবার আমরা কঠিন সময়ের সামনে। প্রচুর মিস পাস হয়েছে। ফুটবলারদের পরিশ্রমের অভাবও দেখছি।’’

ছয় ম্যাচ টানা জয়ের পর তাঁর দলকে এই পরিস্থিতির মুখে এনে দিয়েছে থাংবোই সিংথোর দল। ম্যাচ ড্র করে তাই তাঁরা খুশি। লাজং কোচ বলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল লিগ শীর্ষে আছে। তাদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে এক পয়েন্ট পেয়ে আমরা খুশি। এটা দলের সমস্ত ফুটবলারেরই কৃতিত্ব। আমরা তিন পয়েন্টের জন্যই নেমেছিলাম।’’ দলে দুই বিদেশি দিপান্দা ডিকা এবং উটা কিনয়াকিদের সঙ্গে আট জন অনূর্ধ্ব ২২ ফুটবলার নিয়ে খেলতে নেমেছিল লাজং। এবং জুনিয়র ফুটবলার নিয়ে এ দিন পাহাড়ি দল যা খেলল তার তারিফ করতেই হবে। তাদের দুর্ভাগ্য ম্যাচটা জিততে পারল না। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল লাজং। ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার রেহনেশ টি পি এ দিন অন্তত দুটি নিশ্চিত গোল বাঁচান। পেইন শুরু থেকেই শুধু ভুল পাস করছিলেন। ভাল করে বল ধরতেও পারছিলেন না। বল ধরে দৌড়তেও সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। বিরতির পর তাঁকে বসিয়ে রবিন সিংহকে নামান মর্গ্যান। লাল-হলুদের চতুর্থ বিদেশি পেইন ব্যর্থ হলেও তাঁকে আড়াল করেন মর্গ্যান। বলেন, ‘‘ও অস্ট্রেলিয়া থেকে সবে এসেছে। আসার আগে ওখানে চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভালই খেলে এসেছে। তবে আই লিগ আলাদা। মানিয়ে নিতে সময় লাগবে।’’

আরও পড়ুন:

ওদের কুড়ি উইকেট নেওয়ার লোক কোথায়

ডার্বির পর ফের ড্র। শীর্ষে থাকা মেহতাবদের ৯ ম্যাচে পয়েন্ট এখন ২১। শিলিগুড়ি লাল-হলুদের শহর। ডার্বি ড্র হওয়া সত্ত্বেও দলের জয় দেখার আশায় হাজার দশেক দর্শক এসেছিলেন মাঠে। তাঁরা ভেবেছিলেন পাহাড় টপকে যাবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু হতাশ হতে হয় তাঁদের। এ দিন মাঠে সামান্য ঝামেলাও হয়। সাইয়ের দিকের গ্যালারিতে বসে থাকা এক দল মোহনবাগান সমর্থক ডিকাদের পয়েন্ট হারানো দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন। তা নিয়েই গোলমাল। পরিস্থিতি সামলাতে বাড়তি পুলিশ পাঠানো হয় গ্যালারিতে।

ইস্টবেঙ্গল: রেহনেশ, রাহুল, গুরবিন্দর (অর্ণব), বুকেনিয়া, নারায়ণ, ডিকা, মেহতাব, ওয়েডসন, নিখিল (রোমিও), প্লাজা, পেইন (রবিন)।

East Bengal Draw Shillong Lajong I League
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy