Advertisement
০২ মে ২০২৪

শুরুতেই শেষ হয়ে গেল কোচ মৃদুলের অভিযান

অভিষেকেই অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়! মাত্র এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিটেই নাটকীয়ভাবে শেষ হয়ে গেল লাল-হলুদে মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বারের কোচিং জীবন।

ধাক্কা: বুধবার সকালে গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ছেন মৃদুল।

ধাক্কা: বুধবার সকালে গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ছেন মৃদুল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫০
Share: Save:

অভিষেকেই অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়!

মাত্র এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিটেই নাটকীয়ভাবে শেষ হয়ে গেল লাল-হলুদে মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বারের কোচিং জীবন।

অনুশীলন শুরু করেই চোট পেয়ে চার থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেলেন ট্রেভর মর্গ্যানের জায়গায় আসা ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ।

বুধবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ ফুটবলারদের নিয়ে মাঠে নামেন মৃদুল। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর ওয়েডসন আনসেলমে, উইলিস প্লাজা-দের দেখাচ্ছিলেন, কী ভাবে বল নিয়ে দ্রুত ঘুরতে হয়। দুর্ঘটনা ঘটে তখনই। বল নিয়ে ঘুরতে গিয়ে পড়ে যান মৃদুল। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে আসেন ফুটবলাররা। ডাকা হয় ফিজিওথেরাপিস্টকেও। চোট এতটাই গুরুতর যে, উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও ছিল না লাল-হলুদ কোচের। প্রাথমিক শুশ্রূষার পরে রবিন সিংহ ও ফিজিও-র কাঁধে ভর দিয়ে কোনও মতে মাঠের বাইরে আসেন তিনি। গোড়ালিতে আইসপ্যাক লাগিয়ে বসে ছিলেন রিজার্ভ বেঞ্চে। ক্লাব থেকেই মৃদুলকে এমআরআই করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম ফুটবল পরামর্শদাতা মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বলছিলেন, ‘‘মৃদুলের চোটটা গুরুতর বলেই মনে হচ্ছে। কবে ফিরবে এই মুহূর্তে বলা কঠিন।’’

লাল-হলুদের প্রাক্তন তারকার আশঙ্কাই সত্যি হল। এমআরআই করে দেখে গিয়েছে বাঁ পায়ের গোড়ালির লিগামেন্ট ছিঁড়েছে মৃদুলের। ইস্টবেঙ্গলের সহ-সচিব ও চিকিৎসক শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত জানিয়ে দিলেন, সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে চার থেকে ছ’সপ্তাহ সময় লাগবে ছ’বছর পরে সন্তোষ ট্রফিজয়ী বাংলা দলের কোচের।

দুপুরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে বিদায়ী কোচ মর্গ্যান।

গত সোমবার মর্গ্যানের পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃদুলকে কোচ করেন লাল-হলুদ কর্তারা। বাংলার সন্তোষ ট্রফিজয়ী কোচ জানিয়েছিলেন, ইস্টবেঙ্গলকে দ্রুত জয়ের সরণিতে ফেরানোই তাঁর মূল লক্ষ্য। আই লিগের শেষ দু’টো ম্যাচ ও ফেডারেশন কাপের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিলেন এ দিন থেকে। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা। মৃদুল বললেন, ‘‘আমার গোড়ালির লিগামেন্ট ছিঁড়ছে। অন্তত চার থেকে ছ’সপ্তাহ সময় লাগবে সুস্থ হতে।’’ ২০০৯ সালে ইস্টবেঙ্গলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের সহকারী ছিলেন মৃদুল। লাল-হলুদের প্রাক্তন তারকাই এ বার তাঁকে প্রধান কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। হতাশ মৃদুল বললেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই না। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করাতে এসেছিলাম। দলটা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে তার জন্য প্রচুর পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু সবই ব্যর্থ হল। চোটই আমাকে শেষ করে দিল।’’

ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE