কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া গোকুলম এফসি ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।
রিয়াল কাশ্মীর এফসি-র বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরেও ইস্টবেঙ্গল শিবিরে কোনও উচ্ছ্বাস ছিল না। রবিবার ঠিক উল্টো ছবি। মিনার্ভা এফসি-কে হারিয়ে টিম বাসে ভাঙরায় মাতলেন ফুটবলারেরা!
হরিয়ানার পঞ্চকুল্লা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের খুব কাছে না হলেও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে আবহ। এর মধ্যেই রবিবার মিনার্ভা এফসি বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচকে কেন্দ্র করে উত্তাপ আরও বাড়ল। প্রিয় দলের খেলা দেখতে রবিবার তাউ দেবীলাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে হাজির ছিলেন শ’খানেক লাল-হলুদ সমর্থক। ম্যাচের শুরু থেকেই ঢোল বাজাচ্ছিলেন মিনার্ভা সমর্থকেরা। ৭৫ মিনিটে এনরিকের এসকুয়েদার গোলের পরে তা থেমে যেতেই উৎসব শুরু করে দেন ইস্টবেঙ্গল ভক্তেরা। ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক সমর্থক ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়েন। তিনি যখন খাইমে সান্তোস কোলাদোকে দিয়ে জার্সিতে সই করাচ্ছেন, তেড়ে আসেন মিনার্ভা মালিক রঞ্জিত বাজাজের দেহরক্ষীরা। শুরু হয়ে যায় বচসা। অভিযোগ, ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ বাস্তব রায়কে ধাক্কাও দেন তাঁরা।
জয়ের আনন্দে এই ঘটনার প্রভাব যদিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি লাল-হলুদ অন্দরমহলে। টিমবাসে ফুটবলারেরা যখন ভাঙরা নাচছেন, বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁদের উৎসাহ দিলেন সমর্থকেরা। অভিভূত এনরিকে টুইটারে লিখলেন, ‘‘পনেরো বছরের আতঙ্ক, চোখের জল সব মুহূর্তে মুছে যেতে পারে যদি আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।’’
কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া এ দিন থেকেই গোকুলম এফসি ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া এখনও নির্ভর করছে চেন্নাই সিটি এফসি-র উপরে। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? আলেসান্দ্রোর জবাব, ‘‘আমাদের প্রথম কাজ গোকুলমকে হারানো। তার পরে দেখা যাক কী হয়। ফুটবলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy