সুভাষ ভৌমিক না খালিদ জামিল? কার হাতে দায়িত্ব?
আগামী মরসুমে সুভাষ ভৌমিক না খালিদ জামিল কে থাকবেন ইস্টবেঙ্গলে, তা সম্ভবত আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
এই মরসুমে আই লিগ চলাকালীনই টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (টিডি) হিসেবে সুভাষকে নিয়োগ করেছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু টিডি বনাম কোচ সংঘাতের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল লাল-হলুদ অন্দরমহলের আবহ। সুপার কাপেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ক্ষুব্ধ সুভাষ জানিয়ে দিয়েছিলেন, খালিদ থাকলে আগামী মরসুমে তাঁকে দেখা যাবে না। বাংলা নববর্ষের দিন ক্লাব কর্তারাও জানিয়েছিলেন, টিডি হিসেবে আগামী মরসুমেও সুভাষের থাকার সম্ভবনা প্রবল। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছিল, খালিদের বিদায় নিশ্চিত। কিন্তু হঠাৎ করেই নাটকীয় ভাবে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। ক্লাব সূত্রে খবর, আগামী মরসুমেও খালিদকে কোচ হিসেবে রাখার পক্ষে একাধিক সদস্য। তাঁদের যুক্তি, আগামী মরসুমের জন্য অধিকাংশই জুনিয়র ফুটবলার নেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য খালিদই সেরা কোচ। এই মরসুমে দল ব্যর্থ হলেও খালিদের দায়বদ্ধতায় তাঁরা মুগ্ধ। বুধবারই বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ক্লাব তাঁবুতে এসেছিলেন খালিদ। সংবাদমাধ্যমকে এড়াতে তাঁবুর সামনের দিকে নয়, অনেকটা দূরে রেখেছিলেন গাড়ি। কর্তাদের আর একটা অংশ চাইছেন সুভাষকেই। তাঁদের পাল্টা যুক্তি, আসিয়ানজয়ী কোচ দায়িত্ব নেওয়ার পরেই দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সুপার কাপের ফাইনালে উঠেছে। সুভাষ দায়িত্বে থাকলে প্রধান সমস্যা এক জন ‘এ’ লাইসেন্স কোচ দরকার। জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত যদি সুভাষ থেকে যান, তা হলে তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে সহকারী বেছে নেওয়ার জন্য। সুভাষ এ দিন রাতে বলেছেন, ‘‘আমি কাকে বাছব? আমাকে যে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বে রাখা হবে সেটাই তো কেউ জানায়নি। আমি যে দায়িত্বটা নিয়েছিলাম সেটা শেষ। এখন ক্লাব ডাকলে যাব।’’
এ দিকে মোহনবাগান কর্তাদের মধ্যে ডামাডোল আরও বাড়ল। এ দিন সচিব অঞ্জন মিত্রের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ কর্সসমিতির দশ সদস্য। মূলত গত মরসুমের ফুটবলারদের বকেয়া তিন মাসের মাইনের দু’কোটি টাকা কোথা থেকে আসবে তা নিয়েই আলোচনা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, সত্যজিৎ ক্লাব সচিবকে বলেন, ‘‘ফুটবলারদের বকেয়া টাকা সোমবারের মধ্যে দিতে হবে। বকেয়া না দিলে ক্লাব সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে। আর টাকা না দিতে পারলে আমাকেও পদত্যাগ করতে হবে।’’
অভিষেকের দ্বিশতরান: সিএবির প্রথম ডিভিশন চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ ম্যাচে ইউনাইটেড ক্লাবের বিরুদ্ধে ২৪২ রান করলেন ইস্টবেঙ্গলের অভিষেক মিত্র। এ ছাড়াও বুধবার ওয়াইএমসিএ মাঠে রান পেয়েছেন সোহম ঘোষ ও শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২৭ রান করেন সোহম। ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন শুভজিৎ। ১২৬ ওভারে ৭৭৯ রানে অল আউট লাল-হলুদ শিবির। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ ওভারে ইউনাইটেড ক্লাবের রান ১৪৮-১। কালীঘাট মাঠে আনন্দবাজার পত্রিকার বিরুদ্ধে ১২০ ওভারে ন’উইকেটের বিনিময়ে ৭৫৪ রান করে মোহনবাগান। প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করেছিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (১৫৯)। প্রথম দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান অরিন্দম ঘোষ করেন ১৫৫ রান। এ দিন ১৫৭ বলে ১৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন সায়ন শেখর মণ্ডল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy