ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফ্রাঞ্চাইজি নিলামের দরপত্র তোলার জন্য আজ মুম্বইতে যাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
আর মোহনবাগান এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দরপত্র আদৌ তুলবে কি না ভেবে। দলের দুই শীর্ষ কর্তা মঙ্গলবার রাতে আলোচনা করেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি কী করবেন।
লাল-হলুদ কর্তারা স্পনসরদের নির্দেশে দরপত্র তুললেও, সবুজ মেরুনের পরিস্থিতি অন্য রকম। কারণ তারা টাকার জন্য এখনও নির্ভরশীল ক্লাব প্রেসিডেন্টের উপর। ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘‘অনেক টাকার ব্যাপার। তাই অনেক দিক ভাবতে হচ্ছে। কলকাতার বাইরে কোথাও খেলব না, এই সিদ্ধান্ত পাকা। আরও নানা সমস্যা আছে। সেগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছি। দু’তিন দিন লাগবে সিদ্ধান্ত নিতে। হাতে তো ২৫ মে পর্যন্ত সময় আছে।’’
ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে ফেডারেশন সচিব কুশল দাসকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। আইএসএল নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য। ছুটিতে থাকা কুশলবাবু ফিরছেন ২২ মে। সে দিনই আলোচনায় বসবেন তিনি। কিন্তু সেই সভায় মোহনবাগান থাকবে কি না তা নিশ্চিত নয়। ফলে আইএসএল না আই লিগ—কোথায় খেলবে দুই প্রধান তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে যাচ্ছে। তাদের জোট অবশ্য এখনও অটুট। অন্তত মুখে। দু’দলের কর্তারাই বলছেন, ‘‘খেললে দু’দল একই লিগে খেলব।’’
ইস্টবেঙ্গলের যাঁরা স্পনসর তাদের প্রতিনিধি অবশ্য বললেন, ‘‘দরপত্র তুলতে তো বাধা নেই। দেখতে হবে ভাল করে। কী হারাচ্ছি, কী পাচ্ছি দেখতে হবে। সিদ্ধান্ত তো তার পর। তবে বাড়তি কোনও টাকা দেব না আমরা।’’
আইএসএল এবং আই লিগের টানাপড়েনের সমস্যায় দুই প্রধানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যুক্ত ফুটবলাররা। আই লিগ খেললেও চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের তাঁরা আইএসএলের কোনও দলকে ছাড়বে না সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার বিকেলে সে কথা জানিয়েছেন ক্লাবের শীর্ষ কর্তাও। ফলে অর্ণব মণ্ডল, গুরবিন্দর সিংহ, মহম্মদ রফিক, কেভিন লোবো-সহ জনা দশেক ফুটবলার পড়েছেন মহা সমস্যায়। আইএসএল কর্তৃপক্ষ নিযুক্ত এজেন্টরা তাঁদের পিছনে ঘোরাঘুরি করলেও ওই ফুটবলাররা কিছু করতে পারছেন না। অর্ণব যেমন বলে দিলেন, ‘‘আইএসএল এবং আই লিগ পাশাপাশি চললে যে বেশি টাকা দেবে সেখানেই খেলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy