প্রস্তুতি: কেকেআর প্র্যাকটিসে পীযূষ চাওলা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
ইডেনের মাঝে বাইশ গজের সবুজ যেন ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেকেআরের ‘হোম’-এ ঢুকে এমন মনে হওয়াই স্বাভাবিক। তিন দিন আগের গাঢ় সবুজ রঙ উধাও। ক্রমশ সাদা হয়ে উঠছে যেন ইডেন উইকেট।
বিকেলে নাইটরা ইডেনে ঢোকার ঘণ্টাখানেক পর ইডেনে এসে উপস্থিত হন কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোর। ঢুকেই তিনি আগে দেখা করলেন চিফ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দু’জনের মধ্যে কথা হল বেশ কিছুক্ষণ। মাঝে মাঝে পিচের দিকেও তাকাচ্ছিলেন তাঁরা। দেখে মনেই হল যে, পিচ নিয়েই কথা হচ্ছিল।
কেকেআর অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর প্রথম দিন ইডেনে এসে উইকেট দেখে চমকে উঠেছিলেন। এত ঘাস যে তাঁর অপছন্দ, দলের এক কর্তা মারফৎ সেই বার্তা পাঠান কিউরেটরকে। তার পর থেকেই ঘাস ছাঁটার কাজ শুরু হয়। দলে যতই ভাল স্পিনার থাকুক বা পেস বিভাগ যতই ভাল হোক, ঘরের মাঠে বড় রান না তুলতে পারলে যে ম্যাচ জেতা কঠিন, তা বুঝেই গম্ভীরের এই বার্তা। এ দিন মাইসোর বোধহয় সেটাই নিশ্চিত করলেন। তিন দিন আগের পিচ ও বৃহস্পতিবারের পিচের চেহারায় তাই এত তফাৎ। যদিও তাঁকে পিচ নিয়ে কোনও বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করছেন না সুজন। সন্ধ্যায় ইডেন থেকে বেরনোর সময় উল্টে তিনি বলে দিলেন মাইসোরের কাছে নালিশ জানিয়েছেন। কী নালিশ? ‘‘ওদের (কেকেআর) লোকেরা বড্ড পিচের ধারেকাছে ঢুকে পড়ছে, উইকেটের ধারে ফোটোশুট করছে। এগুলোই বারন করতে বললাম’’, বললেন তিনি।
কিন্তু কেমন হতে চলেছে ইডেনের উইকেট? কেকেআরের কথা মেনে পাটা, ব্যাটিং সহায়ক? নাকি ইডেন পিচের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অনুযায়ী বাউন্স ও গতিতে ভরা, যে পিচ দেখে হাসি ফুটতে পারে জোরে বোলারদের মুখে? সুজন বললেন, ‘‘আমি এখন কিছু বলব না। কাল বোঝা যাবে।’’
শুক্রবার একটা প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবে কেকেআর। ২ ও ৩ এপ্রিল আরও দুটো। এই তিন ম্যাচে তিনটে আলাদা উইকেট দেওয়া হবে গম্ভীরদের। অবশ্যই তিনটের চরিত্র তিন রকমের। এই উইকেটগুলোতেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে হোম ম্যাচ খেলবে কেকেআর। প্রথম দুটো ম্যাচ সিএবি একাদশের বিরুদ্ধে, যে দলে শ্রীবৎস গোস্বামী, অভিষেক রামন, অমিত কুইলা, পঙ্কজ সাউ, ইশান পোড়েলরা খেলবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy