এ ভাবেই মারপিট করতে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার সমর্থকদের। ছবি: এএফপি।
জঙ্গি ফ্যানেদের জন্য ইউরো কাপ থেকেই বের করে দেওয়া হতে পারে। রাশিয়া ও ইংল্যান্ড— দু’দলকেই এই বলে হুঁশিয়ারি দিল উয়েফা। টুর্নামেন্ট চলাকালীন ফের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ জড়ালে ইউরো থেকেই সরিয়ে দেওয়া হবে বলে চরম সতর্কবার্তা দিয়েছে ইউরোপের এই ফুটবল সংগঠন। ইতিমধ্যেই রাশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত শুরু করেছে উয়েফা। ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিচ্ছে তারা। শনিবার মার্সেইতে ইংল্যান্ড-রাশিয়া ম্যাচের ড্র হওয়ার পরই দু’দলের কুখ্যান্ত সমর্থকদের একাংশের মধ্যে ঝামেলা বাধে। ইংল্যান্ডদের ফুটবল গুন্ডাদের সঙ্গে ধুন্ধুমার বাধায় রাশিয়া কুখ্যাত ‘আল্ট্রা’রা। সিসিটিভ ফুটেজেও ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৪ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় স্টেডিয়ামের মধ্যেই। ম্যাচের শেষের দিকে স্টেডিয়ামেই একটা রংমশাল ছুড়ে দেয় রাশিয়ার ‘গুন্ডা’ সমর্থকেরা। এমনকী, স্টেডিয়ামের ফেন্স টপকে বিপক্ষ ফ্যানেদের দিকেও তেড়ে যায় তারা। ইংল্যান্ড ফ্যানেদের উপর চড়াও হয়ে সেখানেই শুরু হয় যথেচ্ছ লাথি-ঘুষি। সেই শুরু। এর পর তা ছড়িয়ে পড়ে স্টেডিয়ামের বাইরেও।
রাশিয়ার ওই সমর্থকদের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যমূলক ব্যবহার করা ছাড়াও রংমশালের মতো বাজি ছোড়া ও জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার অভিযোগ এনেছে উয়েফা। একটি বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, এ বার থেকে ওই সমর্থকদের আলাদা করে তাঁদের উপর নজরদারি বাড়ানো হবে। পাশাপাশি, সুরক্ষা বাড়ানোর জন্যও জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উয়েফার কর্তারা।
গোটা ঘটনায় উয়েফার পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী ভিতালি মুতকো। তিনি বলেছেন, “উয়েফা ঠিকই কাজ করেছে। স্টেডিয়াম স্ট্যান্ডে তখন সংঘর্ষই চলছিল। ওখানে রংমশাল ছোড়াছুড়ি হচ্ছিল, আর তা ছোড়ার জন্য ফ্লেয়ার গানও ছিল। সব কিছুর একটা হেস্তনেস্ত হওয়া দরকার।” ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেছেন, “রাশিয়ার দিকে প্রবল জনসমর্থন ছিল ঠিকই। তবে সকলেই সেখানে ফুটবলকে সমর্থন করতে উপস্থিত ছিল না।”
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy