Advertisement
E-Paper

ডার্বিকে নজরে রাখছেন এনরিকে

চব্বিশ ঘণ্টা আগেই কলকাতায় পৌঁছেছেন ১৩ বছর আগে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোর স্ট্রাইকার। বুধবার সকালেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের অনুশীলন মাঠে নেমে পড়েন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৯
স্নেহ: ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে নতুন বিদেশি এনরিকে। সঙ্গে তাঁর মেয়ে রাহিনা। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

স্নেহ: ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে নতুন বিদেশি এনরিকে। সঙ্গে তাঁর মেয়ে রাহিনা। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

এনরিকে এসকুইদোকে নিয়ে আশা ও আশঙ্কা ইস্টবেঙ্গল শিবিরে!

চব্বিশ ঘণ্টা আগেই কলকাতায় পৌঁছেছেন ১৩ বছর আগে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোর স্ট্রাইকার। বুধবার সকালেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের অনুশীলন মাঠে নেমে পড়েন তিনি। নতুন স্ট্রাইকারকে দেখতে বন‌্‌ধের সকালেও হাজির ছিলেন কয়েক জন লাল-হলুদ ভক্ত। তাঁদের অবশ্য হতাশ হয়েই ফিরতে হল। কারণ, ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার পাজ়ের সঙ্গে কয়েক পাক দৌড়ের পরে সামান্য ফিটনেস ট্রেনিং করেই উঠে যান ৩০ বছর বয়সি এনরিকে। তাই ইস্টবেঙ্গলের স্ট্রাইকার সমস্যা তিনি আদৌ মেটাতে পারবেন কি না প্রথম দিনের অনুশীলনে অন্তত বোঝা যায়নি। এনরিকে বললেন, ‘‘মেক্সিকো থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় পৌঁছেছি। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তি এখনও পুরোপরি কাটেনি। এ জন্য শুধুই দৌড়লাম।’’

এনরিকে-কে নিয়ে আশঙ্কার প্রধান কারণ— দীর্ঘদিন ম্যাচের মধ্যে না থাকা। আগের ক্লাব পোলান্ডের আর্কা গিদেনিয়ার হয়ে তিনি শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন গত ২৭ এপ্রিল পিয়াস গ্রিভিচার বিরুদ্ধে। লাল-হলুদের নতুন স্ট্রাইকারের কথায়, ‘‘মনে করতে পারছি না, শেষ ম্যাচ কবে খেলেছি। সম্ভবত তিন মাস আগে।’’ এর পরেই তিনি যোগ করলেন, ‘‘এই মুহূর্তে খেলার মতো ফিট হয়তো নই। তাই আই লিগের আগে প্রস্তুতি শিবির আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’’

ম্যাচের মধ্যে না থাকলেও মোহনবাগানই যে প্রধান প্রতিপক্ষ, বুঝে গিয়েছেন এনরিকে। মেক্সিকোর জাতীয় দলে হাভিয়ার হার্নান্দেস (চিচারিতো)-এর প্রাক্তন সতীর্থ বলছিলেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা ছিল না। ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব পাওয়ার পরে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের ডার্বির হাইলাইটস দেখেছি। ডার্বিতে ভাল খেলার পাশাপাশি, ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ট্রফি জেতাই লক্ষ্য।’’

তবে বুধবার সকালে অনুশীলনে এনরিকে নয়, লাল-হলুদ ভক্তদের মন জয় করে নিল তাঁর দু’বছরের মেয়ে রাহিনা। দৌড় শেষ করে মাঠের ধারে ফিজিয়োর কাছে স্ট্রেচিং করছিলেন তিনি। প্যারামবুলেটর থেকে নেমে মাঠে ঢুকে পড়ে রাহিনা। কখনও বাবার কাঁধে। কখনও আবার পিঠের উপর উঠে পড়ে। এনরিকে-কন্যার কাণ্ড দেখে হাসতে হাসতে অনুশীলন থামিয়ে দেন কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস। এ দিন বিকেলে ফুটবলারদের মেদ পরীক্ষাও করিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। জানা গিয়েছে, মালয়েশিয়ায় প্রস্তুতি শিবির শেষ করে ফিরে আরও এক বার এই পরীক্ষা করাবেন মেনেন্দেস।

Football East Bengal Enrique Esqueda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy