প্রত্যেকটা গোলের সাথে গোটা শহর, গোটা আর্জেন্টিনা কেঁপে উঠছে ‘ভামোস কারাখো’ ধ্বনিতে। ফাইল চিত্র।
সকাল থেকেই শহরের চেহারা অন্য রকম। হাজার হাজার লোক জড়ো হচ্ছে শহরের কেন্দ্রে ওবেলিস্কোতে। সাদা আর নীল রঙে ছেয়ে গিয়েছে চারদিক। আমাদের কলকাতার দুর্গাপুজোর অষ্টমীর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে আজ দুপুরের বুয়েনোস আইরেস। পার্থক্য একটাই— প্রত্যেকটা গোলের সাথে গোটা শহর, গোটা আর্জেন্টিনা কেঁপে উঠছে ‘ভামোস কারাখো’ (এ বার পারতেই হবে) ধ্বনিতে।
খুশি, স্বপ্ন, প্যাশন, পাগলামি— এই আবেগকে শব্দে ধরা কঠিন। প্রত্যেকটা গোলের সাথে আকাশ কাঁপিয়ে দেওয়া চিৎকার, প্রতিপক্ষের গোলে হতাশার আওয়াজ, বুয়েনোস আইরেস শহরের প্রত্যেকটা হৃৎস্পন্দন আজ ফুটবলের সাথে ওঠানামা করেছে। গোটা আর্জেন্টিনা এক সঙ্গে কেঁদেছে, এক সঙ্গে হেসেছে, গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেসের প্রত্যেকটা সেভের সাথে আবেগে ভেসেছে...। এ ভাবেই দোহা থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে তৈরি হয়েছে অসংখ্য অনবদ্য মুহূর্ত।
আজ রাস্তায় নেমে এসেছিল বুয়েনোস আইরেস। শহরের জায়গায় জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙানো হয়েছিল। খেলা দেখবেন বলে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। বাঁশির আওয়াজ, গাড়ির একটানা হর্ন— দুই বিশ্বসেরার হাড্ডাহাড্ডি এই লড়াইয়ের মধ্যে এই দুর্দান্ত জয়, এই খুশি ভাষায় বোঝানো অসম্ভব।
কাল, সোমবার সকাল থেকে হয়তো আবার রোজকার জীবন শুরু হয়ে যাবে। শুধু থেকে যাবে বিশ্বকাপজয়ী দল ও তার অধিনায়কের জন্য এক অভাবনীয় ভালবাসা ও এক অপরিসীম শ্রদ্ধা। আর থেকে যাবে এই দেশের প্রত্যেকটা কোণায় কোণায় এই স্বপ্ন— দক্ষিণ গোলার্ধের এক দেশের এক ছোট্ট শহর থেকে এসেও সারা ফুটবল-পৃথিবী জয় করা যায়, হওয়া যায় লিয়োনেল মেসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy