জয়: স্পেনকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে উচ্ছ্বাস ইটালির। মঙ্গলবার ওয়েম্বলিতে। ছবি রয়টার্স।
ইটালি ১ • স্পেন ১
টাই-ব্রেকারে ৪-২ জয়ী ইটালি
কথায় বলে, ফুটবল যেমন দেয়, আবার তা ছিনিয়েও নেয়! মঙ্গলবারের রাতটা কত দ্রুত আলভারো মোরাতা মন থেকে মুছে ফেলতে পারবে, সেটা ও-ই ভাল বলতে পারে। পিছিয়ে থাকা স্পেনকে গোল করে বাঁচাল। আবার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পরিসমাপ্তি ঘটল জুভেন্টাস তারকার টাইব্রেকার থেকে গোল নষ্ট করার কারণে। পেনাল্টি বাঁচিয়ে দিল ডোনারুমা। টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ইউরোর ফাইনালে রবের্তো মানচিনির দুর্দান্ত ইটালি।
ইউরোপের দুই বিশ্বজয়ী ফুটবল শক্তির এই সেমিফাইনাল ম্যাচটা নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল প্রবল। এই দুই দেশই আকর্ষণীয় ফুটবল খেলে শেষ চারে উঠে এসেছে।
আক্রমণ ও রক্ষণে দুর্দান্ত ভারসাম্য ও নাছোড় মনোভাব দেখিয়ে ইটালি যেমন ছবির মতো ফুটবল খেলে মন জিতেছে, তেমনই স্পেন শুরুটা ভাল না করলেও চাপ সামলে কী ভাবে ছন্দে ফিরতে হয়, তা দেখিয়েছে।
ইটালির ছন্দকে বেসামাল করতে শুরুতেই দুর্দান্ত চাল দিয়েছিলেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকে। প্রধান স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতাকে বসিয়ে প্রথম দলে রাখেন গত পাঁচ ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নামা মিকেল ওইয়ারহাবালকে। উদ্দেশ্যটা হল, প্রান্ত ধরে তিন ফরোয়ার্ড ওইয়ারহাবাল, দানি ওলমো ও ফেরান তোরেস আক্রমণ শানাবে। সঙ্গে পাঁচ-সাত মিনিট অন্তর নিজেদের মধ্যে জায়গা বদল করবে।
এতেই প্রথমার্ধে নিজেদের সাবলীল খেলাটা মেলে ধরতে পারেনি ইটালি। বাধ্য হয়ে চিরো ইমমোবিলেরা প্রেসিং ফুটবলে বিপক্ষকে পাল্টা চাপ দিতে গিয়েছিল। দু’দলই প্রথমার্ধে আক্রমণে লোক বাড়াতে দেরি করেছে। ২৫ মিনিটে স্পেনের ওলমোর গোলের প্রচেষ্টা রুখে দেয় গোলকিপার ডোনারুমা। ৪৩ মিনিটে ইটালির এমার্সনের শট পোস্টে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দে ফিরতে শুরু করে ইটালি। ফেদেরিকো কিয়েসা তখন থেকেই ভয়ঙ্কর হচ্ছিল। ৬০ মিনিটে ইটালির গোলটিও আসে ওর পা থেকে। নিজেদের অর্ধ থেকে ইটালি গোলকিপার ডোনারুমা বল দিয়েছিল ভেরাত্তিকে। যা বাঁ প্রান্তে ইনসিনিয়ের পা ঘুরে এসেছিল স্পেন বক্সের সামনে দাঁড়ানো চিরো ইমমোবিলের কাছে। বিপদ বুঝে ওকে ট্যাকল করেছিল স্টপার এমেরিক ল্যাপথ। শিকারি বাঘের মতো ছিটকে বেরিয়ে আসা বল ধরে বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে ফেদেরিকো কিয়েসা। পরিবর্ত মোরাতা ৮০ মিনিটে ওলমোর থেকে বল পেয়ে সমতা ফেরায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy