হার্দিক পাণ্ড্য।
মাঠে ঝড় তোলা হার্দিক পাণ্ড্যকে দিনের খেলা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দেখে বিস্মিত হতে হল। কে বলবে, তিনি মাত্র তিন নম্বর টেস্ট খেলছেন! মাঠের মতোই মারকুটে ইনিংস খেলে গেলেন মাইক হাতে নিয়ে। সব প্রশ্নেরই যেন উত্তর দিয়ে গেলেন সোজাসাপ্টা ব্যাটিংয়ের ভঙ্গিতেই—
ফিল্ডিং ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে: আমি জানতাম, মারলে ঠিকই ছক্কা হয়ে যাবে। মিসহিট হলে হবে। আমাকে মারতেই হতো। ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
এক ওভারে ২৬ রান: এটা হয়ে গিয়েছে। এই ওভারটাতেই আমি মারব বলে মারিনি। জানি না কী করে হল। মনে হয় ব্যাটে-বলে ভাল লাগছিল। তার পরেই স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, আমি ৮০ ব্যাটিং। দেখে নিজের মনে উঠলাম, ওয়াও। তখন থেকেই মনে হল, আমি দারুণ মানসিক অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছি। ঠিক করলাম, কী ভাবে ইনিংসটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় শুধু সেটাতেই মনঃসংযোগ করব।
পরবর্তী কপিল দেব: যদি এমন কোনও কিংবদন্তির সঙ্গে তুলনা হয়, তা হলে খুবই গর্বের ব্যাপার সেটা। আমার ফোকাস যদিও শুধু ক্রিকেট খেলা এবং যতটা যা পারি, করার চেষ্টা করা। চলার পথে যদি কপিল দেবের দশ শতাংশও হতে পারি, জীবনে খুবই সুখী হব।
বিশেষ সেলিব্রেশন ভঙ্গি: টেস্ট শুরুর আগে আমি, শিখর আর রাহুল বসে ছিলাম। তখন শিখর বলেছিল, যদি ও সেঞ্চুরি করতে পারে তা হলে এ ভাবেই সেলিব্রেশন করবে। শিখর সেঞ্চুরি করে সেটা করল। কাল রাতে আমি বলেছিলাম, যদি ভাল কিছু করতে পারি একই ভাবে উৎসব করব। তাই সেঞ্চুরি করে ওই ভঙ্গি।
বিশেষ কোনও অর্থ: এটা আমাদের মধ্যে থাকুক।
নানা ফর্ম্যাটের প্রস্তুতি: কে জানে, আমি ঠিক বুঝতে পারি না তফাতটা। টি-টোয়েন্টিতে খেললে আমি হিট করি। ওয়ান ডে খেললে হিট করি। টেস্টে খেললেও সুযোগ পেলেই আমি হিট করি।
টিম ম্যানেজমেন্টের সমর্থন: আমি খুব ভাগ্যবান যে, এ রকম টিম ম্যানেজমেন্ট পেয়েছি। যে ভাবে ওরা আমার প্রতি বিশ্বাস দেখাচ্ছে, তাতে খুবই আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি আমি। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে নিজের মতো খেলার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিচ্ছে। তাই পুরোপুরি ক্রিকেট উপভোগ করতে পারছি। অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই।
প্রথম সেঞ্চুরি কবে: আমি তখন অনূর্ধ্ব উনিশে ছিলাম বোধ হয়। না, না। আসলে আমার মনে নেই কবে আমি প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলাম।
টেস্ট ক্রিকেট কি সহজ: একেবারেই না। কিন্তু আমি খুব খুশি যে, সব কিছু খুব তাড়াতাড়ি এসে গিয়েছে জীবনে। ঈশ্বর পরম করুণাময়। সাদা আমার প্রিয় রং। আমি আইপিএল খেলেছি, ওয়ান ডে খেলেছি, টি-টোয়েন্টি খেলেছি। সবই রঙিন পোষাকে। সাদায় ভাল করতে চাই আমি। ভারতে কোনও বাচ্চা ছেলেও যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করে, টেস্টে ভাল করার স্বপ্ন দেখে।
৯০-এর কোঠায় দাঁড়িয়ে: নার্ভাস নাইনটি মনে হচ্ছিল না। ব্যাট করার সময় আমি ব্যক্তিগত স্কোর বা কীর্তি নিয়ে ভাবি না। সেটা আমাকে টেনশনমুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy