টিমের সঙ্গে চুপচাপ লাঞ্চে বসে পড়ছেন।
টিম বাসে করে মাঠে যাচ্ছেন।
টিম হোটেলের ফ্লোর পাল্টে ফেলছেন টিমের সঙ্গে এক ফ্লোরে থাকবেন বলে।
ড্রেসিংরুমে কারা সাধারণত ঢোকে, তালিকা চেয়ে পাঠাচ্ছেন।
মাঝেমধ্যেই হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন।
ক্রিকেটারদের ফোন দুর্নীতিদমন শাখার কোন অফিসারের কাছে জমা থাকছে, সে সবও চেয়ে পাঠাচ্ছেন।
ইনি দিল্লির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার। যিনি আপাতত ভারতীয় দলের সঙ্গে দুর্নীতিদমনে পরামর্শদাতার ভূমিকায়। এবং ছায়ার মতো বিরাটদের সর্বক্ষণের সঙ্গী।
দুর্নীতিদমন শাখার অফিসারদের কড়াকড়ি ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। এর আগেও হয়েছে। প্রত্যেক বারই বড় টুর্নামেন্টের আগে দেখা গিয়েছে, প্লেয়ারদের হাতে ‘ডুজ অ্যান্ড ডোন্টস’-এর একটা তালিকা ধরাতে। শোনা গেল, নীরজ এখনও কিছু ধরাননি। তিনি এখনও খোঁজখবরের সীমানায় আবদ্ধ। কিন্তু তাঁর ‘গোয়েন্দাগিরির’ আদবকায়দা দেখে ভারতীয় টিমের সঙ্গে যুক্ত কেউ কেউ বেশ আশ্চর্য। এমন কিছু আগে কখনও সে ভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি। বলা হচ্ছে, বিশ্বকাপের সময়ও এমন কঠোর বজ্রআঁটুনিতে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়নি ক্রিকেটারদের।
ক্রিকেটারদের সঙ্গে লাঞ্চে নাকি কস্মিনকালেও কোনও এসিইউ অফিসারকে বসে পড়তে দেখা যায়নি। যায়নি, টিম বাসে করে টিমের সঙ্গে মাঠে যেতে। ড্রেসিংরুমে কারা খাবার নিয়ে আসে বা মিটিংরুমেই কে কে যায়, এ সব নিয়ে খোঁজখবরও এ ভাবে কেউ কখনও নাকি নেননি।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা অবশ্য নীরজের টিম হোটেলের ফ্লোর বদল। সাধারণত এত দিন হোটেলের যে ফ্লোরে টিম থাকত, সেখানে এসিইউ অফিসাররা থাকতেন না। তাঁরা থাকতেন হোটেলের অন্য ফ্লোরে। দিল্লির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল। ঢাকায় যে হোটেলে বিরাট কোহলিরা উঠেছেন, সেই প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের তিন তলায় রাখা হয়েছে টিমকে। আর নীরজকে রাখা হয়েছিল ছ’তলায়। কিন্তু সে ব্যবস্থা নাকি মোটেও মনঃপূত হয়নি নীরজের। তিনি পত্রপাঠ বলে দেন, টিম যে ফ্লোরে আছে, তিনিও তাতেই থাকবেন! এবং খুব দ্রুত সে ব্যবস্থা করেও ফেলা হয়। যা নিয়ে কেউ কেউ বললেন, নীরজ মুখে কিছুই বলছেন না।
কিন্তু তাঁর অনুশাসন যে কতটা কঠোর হতে চলেছে, বিভিন্ন কাজকর্মে তার ইঙ্গিত ছেড়ে যাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy