মহড়া শুরু। মুম্বইয়ে স্মিথ। বুধবার। -রয়টার্স
কুড়ি উইকেট নিতে পারবে না ওরা
অস্ট্রেলিয়ার যে টিমটা ভারতে আসছে, তাতে সে রকম বোলার কোথায় যারা বিপক্ষকে দুই ইনিংসেই অলআউট করতে পারবে? ভারতের উইকেট ও কন্ডিশনে কুড়িটা উইকেট নেওয়ার মতো বোলারই তো ওদের নেই। টেস্ট জিতবে কী করে? একটা টেস্ট জিততে গেলে বোলারদের কুড়িটা উইকেট তো নিতে হবে। এখানেই অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে। উপমহাদেশে টেস্ট সিরিজ জিততে হলে স্পিন বোলিংটা যেমন ভাল করতে হবে, তেমন স্পিনের বিরুদ্ধে ভাল খেলতেও হবে। ওরা দু’টো জিনিসই পারবে? মনে হয় না। শেষ ২০ বছরে কত টেস্ট হেরেছে অস্ট্রেলিয়া, একবার হিসেব করে দেখুন না।
শুধু স্লেজিংয়ে টেস্ট জেতা যায় না
শুধু স্লেজিং করে কি টেস্ট জেতা যায়? মোটেই অত সোজা নয় ব্যাপারটা। আগে পারফরম্যান্স ভাল করো, তার পর না হয় স্লেজিং করো। স্লেজিংয়ের সঙ্গে পারফরম্যান্স এর কোনও সম্পর্ক নেই। এর আগে যে সমস্ত অস্ট্রেলিয়া দল ভারতে এসেছিল বা আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যেতাম, সে সব টিমেও স্লেজিংয়ে সব ওস্তাদরা ছিল। কিন্তু তার সঙ্গে ওদের পারফরম্যান্সটাও ছিল দারুণ। এই অস্ট্রেলিয়া টিমের সেই জোর আছে নাকি? আগে পারফরম্যান্স করে দেখাক, তার পরে না হয় স্লেজিং করবে।
জবাব দেওয়ার ছেলে আছে
উইকেটকিপার স্লেজিংয়ে নেতৃত্ব দেয়, এই ধারণাটা বোধহয় ঠিক নয়। আমাদের ধোনি কখনও স্লেজিং করেছে বলে তো মনে পড়ে না। গিলক্রিস্টকেও তো কখনও করতে দেখিনি। তাই ঋদ্ধিমান সাহা স্লেজিংয়ে কতটা পারদর্শী, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হবে না। তবে অস্ট্রেলিয়া যদি মাত্রাতিরিক্ত স্লেজিং করার চেষ্টা করে, তার জবাব দেওয়ার মতো ছেলে ভারতীয় দলে অনেক আছে।
সিরিজ সেই ৪-০ হবে
শুনেছি অস্ট্রেলিয়া ভারতে আসার আগে দুবাইয়ে প্র্যাকটিস করেছে বেশ কয়েক দিন ধরে। সে ওরা করতেই পারে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য অনেকেই এটা করে থাকে। ওরা হয়তো ভাল খেলতে পারে। ক্রিকেটে তো অনেক কিছুই হয়। কিন্তু দিনের শেষে তো মাঠে গিয়ে ক্রিকেটারদের দক্ষতারই পরীক্ষা দিতে হয়। সে দিক দিয়ে ভারতীয় দলই এগিয়ে। আমার তো মনে হয় না ওরা দুবাইয়ে প্রস্তুতি শিবির করে এলেও তেমন সফল হবে। হয়তো ভারতকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে। কিন্তু সিরিজের শেষে দেখবেন স্কোরকার্ড সেই ৪-০ হবে।
ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে নেই
ইংল্যান্ড সিরিজের আগে বলেছিলাম ৫-০ হবে। হয়েছে ৪-০। অ্যালেস্টেয়ার কুকের ইংল্যান্ড আর স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়া প্রায় সমান-সমান। ইংল্যান্ড দলেও ভারতে সফল হওয়ার মতো কোনও ভাল স্পিনার ছিল না। এদেরও নাথান লায়ন ছাড়া কেউ নেই। তাও লায়ন সেই মানের নয়। ভারতের ব্যাটসম্যানদের আটকানোর মতো ইংল্যান্ডের কোনও বোলার ছিল না। এদেরও নেই। অস্ট্রেলিয়া যদি একটুও সুবিধা পায়, তা হলে সেটা পেতে পারে উইকেট থেকে। ওদের গত বারের সফরের থেকে ভাল, স্পোর্টিং উইকেট এ বার হয়েছে ভারতে। এটাই একমাত্র সুবিধা হতে পারে ওদের। তবে বল ঘুরতে শুরু করলে ভারতীয় বোলাররাই দাপট দেখাবে।
ঋদ্ধিমানের বড় পরীক্ষা
ঋদ্ধিমান প্রত্যেক দিন উন্নতি করছে। কিপিংয়ে তো বটেই, ব্যাটিংয়েও। তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজটা ওর পক্ষে বেশ কঠিন পরীক্ষা হয়ে উঠতে চলেছে। টেকনিকের দিক থেকে ওর ব্যাটিংটা একই রকম আছে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়েছে। এ বার ওকে আরও ভাল করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy