কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে ইমানুয়েল মাকরঁ। ছবি টুইটার।
মহাভারতের কর্ণের মতোই ব্যক্তিগত কুশলতা দেখিয়েও ফুটবলের কুরুক্ষেত্রে হার মানতে হয়েছে কিলিয়ান এমবাপেকে। বিশ্বকাপ ফুটবলের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার কাছে পরাস্ত হওয়ার পর দৃশ্যতই ভেঙে পড়েন ফরাসি তারকা। মেসিকে নিয়ে আর্জেন্টিনীয় ফুটবলাররা যখন জয়ের উৎসবে শামিল, তখন মাঠে বসে পড়তে দেখা যায় এমবাপেকে। আর সে সময়ই কালো স্যুট-টাই পরে এক ভদ্রলোককে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়।
কে এই ভদ্রলোক? না ইনি ফ্রান্সের কোনও কোচিং স্টাফ নন, খেলার মাঠে এমবাপের সতীর্থও নন। তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। যিনি দর্শকাসনে বসে জাতীয় দলকে সমর্থন জুগিয়ে যান, আশাহত ফুটবলারদের সান্ত্বনা দিতে নেমে আসেন মাঠে। দেশের অন্যতম সেরা ফুটবল ‘রত্ন’কে কার্যত অভিভাবকের মতো বোঝাতে দেখা যায় তাঁকে। শুধু এক বার নয়, বারবার। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও ফরাসি দলের খেলোয়াড়দের আলিঙ্গন করে তাঁদের প্রবোধ দেওয়ার চেষ্টা করেন মাকরঁ। বলেন, “ছেলেরা, তোমাদের জন্য আমি গর্বিত।”
২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল দেখল দুই ফুটবল তারকার লড়াই। স্বাভাবিক নিয়মেই এক তারকা জিতলেন, আর এক তারকা হারলেন। গত বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এ বারে কাপ জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছেও পরাজিত হওয়ায় হতাশা গোপন করেননি ফরাসি ফুটবলাররা। এমবাপের একক কৃতিত্বেই আর্জেন্টিনার সঙ্গে টক্কর নিচ্ছিল ফ্রান্স। ফাইনালে পেনাল্টি-সহ ৩টি গোল ১৯৬৬ সালের রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোল করায় পেয়েছেন সোনার বুটও। কিন্তু এ বারের মতো অধরা থেকে গিয়েছে কাপ। আর ভেঙে পড়া ফরাসি দলকে চাঙ্গা করার জন্য দেশের প্রশাসক যে ভাবে উদ্যোগী হয়ে সটান মাঠে নেমে পড়লেন, তাতে উচ্ছ্বসিত নেটাগরিকদের একাংশ। বিশ্বকাপের অনেক টুকরো টুকরো ছবির মধ্যে এমন ‘স্পোর্টিং’ প্রেসিডেন্টের সান্ত্বনা দেওয়ার ছবিটাও হয়তো ইতিহাসের পাতায় রয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy