খোশমেজাজ: সিডনির রাস্তায় ভক্তদের সঙ্গে বিরাট কোহালি। টুইটার
মেলবোর্নে বৃষ্টির জন্য টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল ভারতের। যার জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারেরা নিশ্চয়ই হতাশ। মেলবোর্নে টস জেতার সুবিধেটা নিয়েছিল বিরাট কোহালির দল। পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলীয় ব্যাটিংকে চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারতীয় পেসাররা। অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং দুর্বলতার ফায়দা তুলেছিল ভাল মতোই। ভাল জায়গায় থাকার সুযোগ নিতে না পারলে যে কোনও দলই হতাশ হয়। ভারতও নিশ্চয়ই ব্যতিক্রম নয়।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটো ম্যাচ হল ব্রিসবেন এবং মেলবোর্নে। আজ, রবিবার সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ সিডনিতে। এক একটা মাঠের পরিবেশ-পরিস্থিতি এক এক রকম। ব্রিসবেনের উইকেটে গতি আর বাউন্স ছিল। ফলে ব্যাটসম্যানরা শট খেলতে পেরেছে। মেলবোর্ন আবার অন্য রকমের। এমসিজির বাইশ গজ বেশ মন্থর ছিল। সঙ্গে আবার স্পঞ্জি বাউন্স। এ রকম উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে শট খেলতে হয়। যেটা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা পারেনি। ব্রিসবেনে যে রকম ভাবে শট খেলছিল, মেলবোর্নেও একই রকম ভাবে খেলতে গেল। অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলো এমনিতেই বড় বড়। মেলবোর্নে দেখা গেল, টাইমিং ঠিক না হওয়ায় বাউন্ডারি লাইনের আশেপাশে ক্যাচ আউট হয়ে যাচ্ছে ব্যাটসম্যানরা। যেটা খুব একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
ব্রিসবেনে, সিরিজের প্রথম ম্যাচটা জেতার জন্য ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চদের তোলা রান তাড়া করে ভারত ভাল জায়গায় চলে এসেছিল। কিন্তু ঋষভ পন্থের একটা খারাপ শটে ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার পকেটে চলে যায়। পন্থের প্রতিভা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ ও। উইকেটের দু’পাশেই খুব ভাল শট খেলতে পারে। দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা আছে। কিন্তু একটা জিনিস ওকে শিখতে হবে। খেলাটাকে কী ভাবে সহজ-সরল রাখা যায়। আর সেটা ও শিখতে পারে কোহালির কাছ থেকে। আমি নিশ্চিত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সব শিখে নেবে পন্থ।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে বাদ মিতালি, দাবি ব্যক্তিগত কোচের
মেলবোর্নে ভারতীয় পেসাররা খুবই ভাল বল করে গেল। বিশেষ করে ভুবনেশ্বর কুমার। এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই ধরনের পরিবেশে নিজের সেরাটা বার করে আনতে পারে ভুবি। কিন্তু আমাকে যেটা অবাক করেছে, তা হল, এই টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি। এ বার ম্যাচ সিডনিতে। পাঁচ দিনের মধ্যে ভারতকে তিনটে ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। আর এমন একটা দেশে, যেখানে এক শহর থেকে অন্য শহর যেতে বিমানেও কম সময় লাগে না!
আরও পড়ুন: গোল বাতিল, রেফারিকে নিয়ে ক্ষোভ লাল-হলুদে
সিডনিতে খেলাটা সম্পূর্ণ অন্য রকম হবে। তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে সিডনির বাইশ গজই একেবারে নিষ্প্রাণ। সাধারণত সফরকারী দলেরা ভাবে, সিডনিতে বল স্পিন করবে। কিন্তু এখন মরসুমের শুরুর দিক। আমার মনে হয় না, এখন বল বিশেষ স্পিন
করবে বলে। মেলবোর্নে যদি পুরো খেলা হত, আর ভারত জিতে যেত, তা হলে অস্ট্রেলিয়া কিন্তু শেষ ম্যাচে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে পড়ে যেত। কারণ, এই ভারতীয় দলটার ক্ষমতা আছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাশাপাশি টেস্ট এবং ওয়ান ডে সিরিজও জেতার।
(গেমপ্ল্যান)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy