ডার্বির ভর্তি গ্যালারি। —ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গলের কর্তা শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্তের কথাতেও উঠে আসছে সমর্থকদের আবেগ। বললেন, “ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মূলধন তাদের সমর্থকরা। পরিকাঠামো বা বাইরের চাকচিক্যটা কিছু নয়। সমর্থকদের জন্যই এগিয়ে আসছে সংস্থা। এই সমর্থনটাই সবাই চাই। আমরা চেয়ারে বসেছি চেষ্টা করার জন্যই। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই চেয়ারে বসেছি। তাই যা কিছু ক্রেডিট, তা সমর্থকদেরই প্রাপ্য। এটা ঘটনা, যে সংস্থাই আসুক, তারাই সব কিছু করে। সংস্থার টাকাতেই ক্লাব চলে। তবে আমাদের শক্তি হল সমর্থকরা। সেটা বার বার বলছি।”
প্রাক্তন ফুটবলার তথা সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও আবেগ। তিনি বললেন, “ভারতবর্ষের ফুটবল এই দুটো টিমকে বাদ দিয়ে হয় না। আইএসএলে সব বানানো টিম। শুনতে খারাপ লাগলেও কথাটা সত্যি। আমি তো চাইব, আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সঙ্গে মহামেডানকেও নেওয়া হোক। ভারতের ফুটবলের উন্নতির জন্য, মানুষের মনে প্রভাব ফেলতে এটা দরকার। শেষ ডার্বিতেও গিয়েছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এখনও লক্ষ লোক খেলা দেখতে আসে। সবাই ভিতরে ঢুকতে পারেনি, কিন্তু বাইরে ভিড় করে থেকেছে। এই ক্লাবগুলো হল পীঠস্থান। এদের রাখতেই হবে। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল দেখিয়ে দেবে আইএসএল কোথায় উঠতে পারে। কারণ, বাকি দলগুলো সাপোর্টার কিনে এনেছে। কিন্তু আসল খেলাটা এ বার শুরু হবে। আমার ভীষণ ভাল লাগছে। আমি নিশ্চয়ই মোহনবাগানের লোক, কিন্তু ফুটবল বাঁচাতে গেলে আবার বলছি মহমেডানকেও দরকার।”
আরও পড়ুন: একই খেলার চারটি জাতীয় দল! অদ্ভুত গোলোকধাঁধার নাম ভারতীয় ডিজেবেলড ক্রিকেট
ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্ভুক্তি মান বাড়াবে আইএসএলের, আগেই বলেছেন সুভাষ-সুরজিৎ। সেই মেজাজেই সুব্রত বললেন, “আইএসএলের উজ্জ্বল দিকটা মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল না খেললে হত না। বাজি ধরে বলতে পারি, যে কোনও রাজ্যে খেলা হোক, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল না খেললে ফাঁকা থাকবে মাঠ। এই দুটো দল বড় টুর্নামেন্টে সব সময় খেলে এসেছে। সুতরাং, এরা যে আইএসএলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, সেটা খেলার সময়েই প্রমাণিত হবে।”
প্রসূন আবার আরও আক্রমণাত্মক। তাঁর মতে, “আইএসএলের খেলা যতই লোকে দেখুক, এই টিমগুলোকে লোকে জানে না। এ বার এমন দল খেলবে, যাদের গোটা পৃথিবী চেনে। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ডার্বি ম্যাচ না হলে মজাটা কোথায়? বাঙাল-ঘটির লড়াই, চিৎকার, লক্ষ লক্ষ লোক দেখে এই ম্যাচ। স্কটল্যান্ড থেকে নিউজার্সি পর্যন্ত আলোচনা চলে এদের নিয়ে। আমি তো বলব, আইএসএল কর্তারা সৌভাগ্যবান। ওদের মাথায় বুদ্ধি এসেছে। এই দুটো দল হল প্রাইম। এদের খেলা দরকার।”
কী দাঁড়াল? ইস্টবেঙ্গল নয়, যেন আইএসএলেই যুক্ত হচ্ছে ‘শ্রী’!