Advertisement
E-Paper

সুব্রত কাপ ফুটবলে বয়সে কারচুপির নালিশ

সোমবার চন্দননগরের বৌবাজার সেন্ট্রাল ক্লাবের মাঠে ফাইনাল হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৮ ০১:১৬
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

সুব্রত কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে হুগলি জেলায় আয়োজিত ক্লাস্টারে সেরা হল উত্তর ২৪ পরগনার কল্যাণগড় বিদ্যামন্দির। রানার্স হয়েছে হাওড়ার গঙ্গাধরপুর বিদ্যালয়।

সোমবার চন্দননগরের বৌবাজার সেন্ট্রাল ক্লাবের মাঠে ফাইনাল হয়। নির্ধারিত সময়ে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৩-২ ব্যবধানে জিতে বাজিমাত করে উত্তর ২৪ পরগনার দলটি। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স হওয়ার সুবাদে দু’টি স্কুলই রাজ্য পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় যোগদানের সুযোগ পেল।

বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদ সূত্রের খবর, হুগলিতে আয়োজিত ক্লাস্টারে ৮টি জেলার চ্যাম্পিয়ন স্কুল যোগ দিয়েছিল। এ দিন সেমিফাইনালে গঙ্গাধরপুর বিদ্যালয় ৭-০ গোলে চন্দননগরের কানাইলাল বিদ্যামন্দিরকে (ইংরেজি বিভাগ) হারায়। অপর সেমিফাইনালে কল্যাণগড় বিদ্যামন্দিরের বনাম নদিয়ার ডন বসকো হাইস্কুলের খেলা ছিল। তবে, কল্যাণগড়ের স্কুলটি বেশ কয়েকজন বেশি বয়সের ছেলেকে খেলাচ্ছে এই অভিযোগ তুলে নদিয়ার স্কুলটি মাঠে নামেনি। ফলে কল্যাণগড় ওয়াকওভার পেয়ে ফাইনালে
পৌঁছে যায়।

নদিয়ার স্কুলটির তরফে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদ দফতরে। স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ‘‘বয়স ভাঁড়িয়ে খেলানোর প্রতিবাদেই দল নামাইনি আমরা।’’ বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদ সূত্রের অবশ্য দাবি, সরকারি নির্দেশিকা মেনে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের বয়স যাচাই করে মাঠে নামার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

ক্রীড়া পর্ষদের এক কর্মকর্তা জানান, প্রমাণ সহকারে ছাত্রের নাম, পরিচয়, রেজিস্ট্রেশন তালিকা পাঠায় সংশ্লিষ্ট স্কুল। প্রধান শিক্ষক এবং কোচ, ম্যানেজারের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সমবেত ছবি পাঠাতে হয়। তার পরে মাঠে নামার আগে খেলোয়াড়দের বয়সের নথিপত্র যাচাই করে দেখা হয়। এতে প্রযুক্তির সাহায্যও নেওয়া হয়। শেষে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। সব প্রক্রিয়া পার করলেই খেলোয়াড়দের মাঠে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদের যুগ্ম সম্পাদক দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘অভিযোগ শোনার পরে আমি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই সব হয়েছে।’’ ২০১২ সালেও কল্যাণগড় বিদ্যামন্দির চ্যাম্পিয়ন হয়ে রাজ্যে রানার্স হয়েছিল। ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত সিংহ বলেন, ‘‘খেলোয়াড়দের জন্মশংসাপত্র ও আধার কার্ড পরীক্ষা করেই মাঠে নামানো হয়। ক্রীড়া পর্ষদও তা যাচাই করে নেয়। ফলে বয়স নিয়ে কারচুপির সুযোগ থাকে না। আমাদের লক্ষ্য এখন রাজ্যস্তরে ভাল ফল করা।’’

Football Chandan Nagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy