লড়াই: গোয়া রক্ষণে আটকে গেলেন বুমোস। এআইএফএফ।
সুপার কাপ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। মঙ্গলবার নিয়মরক্ষার ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ০-১ গোলে হেরেই গেল জুয়ান ফেরান্দোর দল।ম্যাচের ৮৯ মিনিটে গোয়াকে জয় এনে দেন ফানেস আরনাউত।
নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও শক্তিশালী প্রথম একাদশ তৈরি করেছিলেন জুয়ান। দলে ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, লিস্টন কোলাসো, আশিক কুরুনিয়নের মতো তারকারা। কিন্তু পুরো ম্যাচে মোহনবাগান একবারও তেমন কোনও ইতিবাচক গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ম্যাচের পরে জুয়ানও মেনে নেন, তাঁর দল ভাল ফুটবল খেলতে পারেনি।
প্রথমার্ধে তাও ব্যক্তিগত কৃতিত্বে বেশ কয়েকবার গোয়া পেনাল্টি বক্সে পৌঁছে গিয়েছিলেন এটিকে-মোহনবাগান দলের তরুণ তারকা কিয়ান নাসিরি। ২৯ মিনিটে গতিতে গোয়ার ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে তিনি ঢুকেও পড়েছিলেন পেনাল্টি বক্সের মধ্যে। কিন্তু তাঁর স্কোয়ার পাস ঠিক মতো গিয়ে পৌঁছয়নি দিমিত্রির পায়ে। পাল্টা আক্রমণে ৩৩ মিনিটে মোহনবাগান রক্ষণে আতঙ্ক ধরিয়ে দেন লেনি রদ্রিগেস। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লেও শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে তিনি পড়ে যান। ৩৯ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট রোখেন গোয়া গোলরক্ষক আরশদীপ সিংহ।
গোলের জন্য মরিয়া মোহনবাগান কোচ জুয়ান দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি পরিবর্তন করেন। নামান হুগো বুমোস, পুইতেয়া এবং মনবীর সিংহকে। ৭২ মিনিটে নিজেদের মধ্যে পাস খেলে গোয়া পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন দিমিত্রি এবং মনবীর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করে দেন ফারেস। ম্যাচের শেষ দিকে গোয়ার আক্রমণের মুখে খানিকটা চাপেই পড়ে যায় মোহনবাগান রক্ষণ।
৮৯ মিনিটে মোহনবাগান পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ে নোয়া সাদাতোই পাস বাড়ান ফারেসকে। সেই সময় মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইত একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বল জালে ঠেলে দেন ফারেস।
মঙ্গলবার অন্য ম্যাচে জামশেদপুর এফসি ৩-২ গোলে গোকুলম এফসিকে হারিয়ে পৌঁছে গিয়েছে সেমিফাইনালে। ৪০ মিনিটে জামশেদপুরের হয়ে গোল করেন হ্যারি সওয়্যার। ব্যবধান বাড়ান ফারুখ চৌধরি এবং ঈশান পণ্ডিতা। গোকুলমের পক্ষে জোড়া গোল স্যামুয়েল কোনির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy