ক্যাম্প ন্যুতে লিয়োনেল মেসি। গত দু’দিন সমাজমাধ্যম ছেয়ে গিয়েছে এই ছবিতে। নিজের পুরনো ঘরে ফিরেছেন মেসি। অথচ তাঁর সঙ্গে কেউ নেই। না বার্সার কোনও ফুটবলার, না কোনও কর্তা। কেন? জানা গেল আসল কারণ। মেসি যে বার্সেলোনায় আসছেন তা জানতেনই না বার্সেলোনার কর্তারা। কাউকে না জানিয়ে নিজের পুরনো ক্লাবে সময় কাটিয়ে গেলেন লিয়ো। ঢুকে পড়লেন এক যুগলের ভিডিয়োতেও।
মেজর লিগ সকারে নাশভিলকে হারানোর পরেই মায়ামি ছাড়েন মেসি। শুক্রবার স্পেনের আলিসান্তেতে অ্যাঙ্গোলার বিরুদ্ধে প্রীতিম্যাচ রয়েছে আর্জেন্টিনার। তার আগে সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন মেসি। যাওয়ার পথে হঠাৎ তাঁর মনে হয় পুরনো ক্লাব ঘুরে যাবেন। তাই বার্সেলোনায় নেমে পড়েন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার।
রবিবার রাতে সেল্টা ভিগোর সঙ্গে খেলা ছিল বার্সার। অ্যাওয়ে ম্যাচ হওয়ায় কাতালান দলের সমর্থকেরা পাড়ি দিয়েছিলেন স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। মেসি যে ঠিক সেই সময়েই বার্সেলোনায় যাবেন, সেই আন্দাজ তাঁদের ছিল না। সমাজমাধ্যমে মেসির ছবি বার হওয়ার পর সকলে বুঝতে পারেন সেমি ক্যাম্প ন্যুতে গিয়েছিলেন।
দীর্ঘ দিন ধরে কাজ চলছে ক্যাম্প ন্যুতে। নতুন করে তৈরি হওয়া স্টেডিয়াম সম্পূর্ণ হওয়ার সময়সীমা পিছিয়ে গিয়েছে বার বার। আর্থিক এবং প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে। তবে গত সপ্তাহে প্রথম বার এই মাঠে অনুশীলন করে বার্সেলোনা দল। ২৩ হাজার সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক বিরতির পর অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিরুদ্ধে ক্যাম্প ন্যুতে প্রথম বার খেলবে বার্সেলোনা। সেই স্টেডিয়ামেই যান মেসি।
ক্যাম্প নৌতে লিয়োনেল মেসি। ছবি: সমাজমাধ্যম।
সরাসরি ঢুকতে পারেননি মেসি। মাঠের নির্মাণের কাজে যুক্ত তুরস্কের সংস্থা ‘লিমাক’-এর কর্মচারীরা মেসির আসার কথা বার্সা কর্তাদের জানান। তখন তাঁরা মেসিকে ঢোকার অনুমতি দেন। পরে একটি বিবৃতিতে সে কথা জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তার পরেও মেসির সঙ্গে দেখা করতে কোনও কর্তা যাননি।
আরও পড়ুন:
তার মাঝেই এক যুগলের ভিডিয়োয় ঢুকে পড়েন মেসি। স্টেডিয়ামের বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়েও ছবি তোলেন মেসি। সেই সময় সেখানে এক যুগল গান বাজিয়ে নাচছিলেন। হঠাৎই, তাঁরা দেখতে পান, তাঁদের পিছনে কিছুটা দূরে মেসি দাঁড়িয়ে। চমকে ওঠেন তাঁরা। নাচ থামিয়ে সে দিকে তাকিয়ে নিজেদের মধ্যে কিছু একটা বলতে থাকেন। সেই ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বার্সেলোনায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিজেও জানিয়েছেন মেসি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “গত রাতে আমি এমন একটা জায়গায় ফিরেছিলাম যেটাকে আমি হৃদয় থেকে মিস্ করি। একটা জায়গা যেখানে আমি প্রচণ্ড খুশি ছিলাম। যেখানে আপনারা হাজার বার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে আমি বিশ্বের সুখীতম মানুষ। আশা করি এক দিন আমি ফিরতে পারব। খেলোয়াড় হিসাবে বিদায় জানাতে নয়। কারণ আমি সেটা কোনও দিন চাইনি।”
মেসির কথা থেকে স্পষ্ট, খেলোয়াড় জীবনে আর বার্সায় ফিরবেন না তিনি। কারণ, সেখানকার বর্তমান কর্তাদের সঙ্গে মেসির সম্পর্ক ভাল নয়। ২০২১ সালে মেসির বার্সা ছাড়ার নেপথ্য কারণ হিসাবে অনেকেই কর্তাদের সঙ্গে তাঁর খারাপ সম্পর্কের কথা বলেন। সেই কারণেই হয়তো মেসির সঙ্গে দেখা করতেও কেউ যাননি। তবে মেসি বার্সায় ফিরতে চান। সেই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন লিয়ো নিজেই।