ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন ফাইল চিত্র।
গত বছর ইউরোয় ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের ঘটনা ভোলেননি অনেকেই। ফিনল্যান্ড বনাম ডেনমার্ক ম্যাচে খেলার মধ্যেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হৃদযন্ত্র সচল রাখার বিশেষ যন্ত্রও বসাতে হয় তাঁর শরীরে।
তখন মনে হয়েছিল, মাত্র ২৯ বছরে ড্যানিশ তারকার ফুটবল জীবনে শেষ হয়ে গেল! ইন্টার মিলানও তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। কিন্তু গত ডিসেম্বরেই সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি অনুশীলন শুরু করেন ছোটবেলার ক্লাব ওডেন্স বোল্ড ক্লুবে। এ বার আরও চাঞ্চল্যকর ভাবে এক সাক্ষাৎকারে বলে দিলেন, ডেনমার্কের হয়ে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে চান!
এরিকসেন বলেছেন, ‘‘আমি নিজে কী চাই, সেটা ভাল করে জানি। আবার আগের মতো ফুটবল খেলাই একমাত্র লক্ষ্য। এমনকি ডেনমার্কের হয়ে কাতার বিশ্বকাপেও খেলতে চাই। আমাকে দলে নেওয়া হবে কি না জানি না। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে সমস্যাটা কোথায়? আমার পক্ষে ফিরে আসা সম্ভব। শারীরিক ভাবেও এই মূহূর্তে সেরা জায়গায় আছি।’’
কিন্তু হৃদযন্ত্র সচল রাখার যন্ত্র শরীরে নিয়ে সেটা আদৌ সম্ভব? এরিকসেনের বক্তব্য, ‘‘চিকিৎসকেরাই বলেছেন আর কোনও সমস্যা নেই। সবকিছুই এখন স্থিতিশীল। আমারও মনে হয়েছে, ওঁদের কথা আসলে সবুজ সঙ্কেত। যার অর্থ আবার আমার ফুটবল খেলতে বাধা নেই।’’
অনেকের মতে, এরিকসেন আসলে এখন ক্লাব খুঁজছেন। এটা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নও করা হয়। বলা হয়, ইন্টার মিলান চুক্তি বাতিল করার পরে কোনও ক্লাবই সে ভাবে আগ্রহ দেখায়নি। হতে পারে, কেউ তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নিতেও চায় না।
তার পরেও এরিকসেন কিন্তু বলেছেন, ‘‘সত্যি কথাটা হল ফুটবলে কেউ নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে পারে না। কেউ জানে না, তার শেষ পর্যন্ত কী হবে। তাই এটা নিয়ে বেশি ভাবার অর্থ হয় না। আবার কোনও ভাল ক্লাব পাব কি না, নিজেও জানি না। তবে আমি যে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ, সেটা সবাইকে বোঝানোও এই মুহূর্তে আমার কাজ।’’
ফুটবল মহলের একটা অংশ অবশ্য মনে করছে, এরিকসেনের নতুন ক্লাব পাওয়াটা অসম্ভব নয়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মতো যে ক্লাবগুলি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তারা ড্যানিশ তারকাকে নেওয়ার কথা ভাবতেই পারে।
ঘটনাচক্রে তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ দালে ব্লিন্দ শরীরে একই যন্ত্র নিয়ে আয়াখস আমস্টারডামের মতো ক্লাবে নিয়মিত খেলছেনও। টটেনহ্যামে সই করার আগে এরিকসেনও যে ক্লাবে খেলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy