আড়াই বছরের চুক্তিতে সৌদির ক্লাবে রোনাল্ডো। —ফাইল চিত্র
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে যোগ দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সেই ক্লাবে খেলতে গিয়েও নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন পর্তুগালের তারকা ফুটবলার। নিজের ফিটনেস নিয়ে এখনও সচেতন ৩৮ বছরের রোনাল্ডো। তাঁকে দেখে শিখছেন সৌদি আরবের অন্য ফুটবলাররা।
আড়াই বছরের চুক্তিতে সৌদির ক্লাবে রোনাল্ডো। সেই ক্লাবের পুষ্টিবিদ জানালেন, রোনাল্ডোর ফিটনেসের পিছনে লুকিয়ে থাকা রহস্যের কথা। পুষ্টিবিদ জোস ব্লেসা জানিয়েছেন, রোনাল্ডো আসার পর দলের অন্য ফুটবলাররাও ফিটনেস নিয়ে সচেতন হয়ে গিয়েছেন। ব্লেসা বলেন, “রোনাল্ডো এখানে আসার পর থেকে বাকি ফুটবলাররাও প্রচুর পরিশ্রম করছে। খাওয় দাওয়া নিয়েও অনেক বেশি সচেতন। আমি দেখিনি, কোনও ক্লাবের ফুটবলাররা প্রতি দিন ফিটনেসে আগের থেকে ৯০ শতাংশ উন্নতি করছে। ফুটবলারদের শরীরে চর্বি কমেছে, পেশির জোর বেড়েছে। এখানে কাজ করাটা আমার কাছে দারুণ একটা ব্যাপার।”
রোনাল্ডোর ফিটনেসের পিছনে একটি আংটি এবং ব্রেসলেটের কথা বলেছেন ব্লেসা। তিনি বলেন, “রোনাল্ডোর সঙ্গে কথা বলাটা আমার কাছে শিক্ষা পাওয়ার মতো। খাওয়াদাওয়া এবং বিশ্রাম কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে আমরা আলোচনা করি। রোনাল্ডোর হাতে একটা আংটি এবং ব্রেসলেট রয়েছে। রোনাল্ডো কত ক্ষণ ঘুমাচ্ছে সেটা ওই আংটিতে ধরা পড়ে। সেই সঙ্গে কতটা পরিশ্রম করছে রোনাল্ডো, সেই তথ্যও দেখতে পাওয়া যায়। হৃদ্ স্পন্দন, শরীরের তাপমাত্রা সব তথ্যই জমা হয় ব্রেসলেটে।” আংটিটির দাম ২৫ হাজার টাকা।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাসের মতো ক্লাবে খেলেছেন রোনাল্ডো। তাঁর অভিজ্ঞতা সৌদির ক্লাবে খেলা ফুটবলারদের থেকে অনেকটাই বেশি। ব্লেসা বলেন, “রোনাল্ডো আমাকেও খুব সাহায্য করে। ও থাকলে আমার কিছু শেখানোর থাকে না। রোনাল্ডো সকলের আগে অনুশীলনে আসে, সকলের শেষে বার হয়। বাকি ফুটবলাররা ওর থেকে শেখে। রোনাল্ডো নিজেই একটা স্কুল। সকলে ওর মতো হয়ে চায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy