একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব এসেছিল তাঁর কাছে। তবু ক্লাব বিশ্বকাপে না খেলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালের আগের দিন নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, কেন লিয়োনেল মেসিকে তিনি সমীহ করেন সেটাও ফাঁস করেছেন।
রোনাল্ডোর ক্লাব আল নাসের ক্লাব বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তার পরেই রোনাল্ডোর একটি পোস্টে জল্পনা উঠেছিল, তিনি হয়তো সৌদি আরবের ক্লাব ছাড়তে পারেন। সেই সম্ভাবনা আপাতত নাকচ করেছেন রোনাল্ডো। তাঁর দাবি, আর্জেন্টিনার ক্লাবের তরফেও ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার প্রস্তাব ছিল।
রোনাল্ডো শনিবার বলেছেন, “অনেক প্রস্তাব ছিল। কিছু ভাল, কিছু খারাপ। সব ক্লাবে তো যাওয়া যায় না। সবাইকে ছোট, মাঝারি এবং বড় মাপের পরিকল্পনা রাখতে হয়। এই সিদ্ধান্ত আমি নিজেই নিয়েছি। ক্লাব বিশ্বকাপে খেলব না। তবে প্রস্তাব অনেক ছিল।”
সেই প্রস্তাব এসেছিল আর্জেন্টিনা থেকেও। রোনাল্ডোর কথায়, “আর্জেন্টিনা থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তবে কখন কী হয় কিছু বলা যায় না। কখনও আর্জেন্টিনায় যাইনি। এক বার যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।”
তাঁর সঙ্গে মেসির সম্পর্ক নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। তবে রোনাল্ডো জানিয়ে দিয়েছে, দু’জনেই একে অপরকে সমীহ করেন। রোনাল্ডোর কথায়, “মেসির প্রতি আমার ভালবাসা রয়েছে। যদিও আমরা অনেক বছর একে অপরের শত্রু ছিলাম। আগে অনেক সাক্ষাৎকারে বলেছি, আমরা ১৫ বছর বড় মঞ্চে খেলেছি। পুরস্কারের অনুষ্ঠানে ওর হয়ে ইংরেজিতে তর্জমা করে গিয়েছি। ওর প্রতি ভালবাসা রয়েছে কারণ, ও-ও আমাকে সমীহ করে।”
আরও পড়ুন:
রবিবার নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেন-পর্তুগালের ম্যাচকে রোনাল্ডো বনাম লেমিন ইয়ামালের দ্বৈরথ বলা হচ্ছে। রোনাল্ডো অবশ্য সে সবে গুরুত্ব দেননি। বলেছেন, “যখনই কোনও বড় ম্যাচ খেলতে নামি তখনই শুনি, রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে অমুকের ম্যাচ, তমুকের ম্যাচ। ২০ বছর পরেও একই জিনিস শুনছি। এখন আর এ সব ভেবে রাতের ঘুম ওড়ে না। আমরা পুরোপুরি আলাদা প্রজন্ম। একটা প্রজন্ম শুরু হচ্ছে, একটা প্রজন্ম শেষের মুখে। বাস্তবে ব্যাপারটা মোটেও এ রকম নয়। একটা দল আর একটা দলের বিরুদ্ধে খেলততে নামবে। ইয়ামালের বয়স অনেক কম। ওকে ভাল ভাবে উন্নতি করতে দিন।”
ইয়ামাল আগের দিনই বলেছিলেন, “ও ফুটবলের কিংবদন্তি। সব ফুটবলারের মতো আমিও ওকে সমীহ করি। তবে মাঠে নেমে আমি দলকে জেতানোরই চেষ্টা করব। এই ধরনের ম্যাচেই আমি নিজেকে প্রমাণ করতে চাই।”